সাগর কুমার বাড়ই , জেলা প্রতিনিধি , খুলনা // খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বের বিস্ময়, তাঁর ধারেকাছেও কেউ নেই। তাঁর মতো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নেতা আমাদের উপ মহাদেশে আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার ঐতিহ্য ধারণ করেন। একটা সময় দেশে এমন অবস্থা হয়েছিল অত্যাচারে হিন্দুরা পূজা করতে পারতো না, তখন ঘটপূজা করা লাগতো। ২০০১ সালে বিএনপি
-জামায়াত সরকারের আমলে হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলো । তারা বাড়িতে থাকতে পারতো না। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাত-পা কেটে ফেলা হতো। এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পূজা উদযাপন করতে পারছেন। যতদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আছে ততদিন বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র থাকবে। তিনি আরও বলেন , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত
অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের ছোঁয়া আমাদের দেশের প্রতিটা গ্রাম এবং শহরে বিস্তার লাভ করেছে । তিনি প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা মন্দির মসজিদ গীর্জা সহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। তাই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। তিনি ১৩ মে দুপুরে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের ছাগলাদহ বুড়ো মায়ের গাছতলায় ৫৭ তম বাৎসরিক মহোৎসব ও শ্রী শ্রী বুড়ো মায়ের পূজা উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, এ্যাডঃ ফরিদ আহম্মেদ, সমাজ সেবকা রমা অধিকারী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাগলাদহ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ। বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খাঁন জবা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল
ইসলাম লাবু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আজগর বিশ্বাস তারা, অমিয় অধিকারী, আজগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায়, সাবেক ছাত্রনেতা দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাঁন সেলিম, রূপসা উপজেলার ৫ নং ঘাট ভোগ
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন সাধন কুমার অধিকারী, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, যুবলীগ নেতা আবু আহাদ হাফিজ বাবু, সাইফুল ইসলাম সাইখ, উত্তম বিশ্বাস, মৃন্ময় ধর শিপন, কাজী সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত, মোক্তাজুল ইসলাম সোহাগ, যুবলীগ নেতা তপন মল্লিক, জিল্লু মুন্সী, কাজী সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, দিদারুল ইসলাম দিদার, মিঠু মুন্সী, রূপসা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান তানভির, হিরন শিকদার, যুবলীগ নেতা তাপস বিশ্বাস, ফারুক আহম্মেদ, শুভ্র বিশ্বাস, বিপ্লব কাজী, তরিকুল ইসলান তরু, রবিউল মাস্টার, রকি সাকাতি, শেখ মনজুরুল ইসলাম প্রমূখ।