ছাতকে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সচেতনতামুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 সেলিম মাহবুব, ছাতক: ছাতকে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সচেতনতামুলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ব্যুরোর লাইফষ্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন প্রোগ্রামের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন,ছাতক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইদুর রহমান, কর্মশালার

 

প্রোগ্রাম অর্গেনাইজার তপু মাহমুদ, ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, অর্থ সম্পাদক বিজয় রায়, হাসপাতালের হেলথ এসিষ্টেন্ট আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ, কামরুল ইসলাম,আলিম হোসাইন, শশাংক দত্ত, প্রদীপ কুমার দাস, বিভা রানী দাস, শুপ্রভা সেনাপতি, গায়ত্রী চৌধুরী, শেলী বর্ধন, আব্দুল গাফফার প্রমূখ। সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ রাজীব চক্রবত্তী বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে দুর্যোগ প্রবণও জলবায়ূ ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সুনামগঞ্জ

 

জেলা হচ্ছে বজ্রপাতের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। প্রতিবছরই সুনামগঞ্জ জেলার কোন না কোন এলাকায় বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এর জন্য কিছু কৌশল জানা থাকলে বজ্রপাত থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এপ্রিল ও মে মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশী হয়ে থাকে। আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে বা বজ্রপাতের সময় ঘরে অবস্থান করা উত্তম। বাইরে গেলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করলে বজ্রপাত থেকে

 

নিরাপদ থাকা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এর মধ্যে বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে, উচুঁস্থানে ও গাছের নিচে অবস্থান করা যাবে না। ধান ক্ষেতে বা মাঠে থাকলে বজ্রপাতের সময় পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দালান বা কংক্রিট ছাউনীর নিচে আশ্রয় নিতে হবে। উঁচুগাছ, বৈদ্যুতিক বা মোবাইল টাওয়ার ও ধাতব খুঁটি থেকে দুরে থাকতে হবে। কালো মেঘ দেখা দিলে ডোবা, পুকুর, নদী বা জলাশয় থেকে ও দুরে থাকতে হবে।

 

বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতরে থাকলে গাড়ির কোন ধাতব স্থানে স্পর্শ করা যাবে না। এ সময় বাড়িতে অবস্থান করলে বারান্দায় বা জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। ঘরের বৈদ্যুতিক সকল সংযোগ বন্ধ রাখা ভালো। বজ্রপাতের সময় স্টিলের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। খেলার মাঠে থাকলে সকলে এক জায়গায় জড়ো হয়ে না

 

থেকে অন্তত ৫০ ফুট দূরে আলাদা- আলাদা ভাবে সরে যাওয়া অনেকটাই নিরাপদ। বাড়িতে বিদ্যুৎ নিরোধক ব্যবস্থা না থাকলে পরিবারের লোকজন পৃথক কক্ষে অবস্থান নেয়া প্রয়োজন। নৌকায় থাকলে ছাউনীর নিচে অবস্থান করতে হবে। নৌকার সাথে পানি পর্যন্ত লৌহ দন্ড বেধে রাখলে বজ্রপাত থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব। প্রতিটি দালানে বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top