জোর পূর্বক জমি দখল করতে গেলে বাঁধা প্রদানে আলমগীর হোসেনকে হত্যার হুমকি

সাগর কুমার বাড়ই খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা মো: আলমগীর হোসেনক (৪০) কে হত্যার হুমকি দিয়েছে একই উপজেলার বাদিন্দা মো: মকসুদ আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন (৪০) । অভিযান টিভির খুলনা জেলা প্রতিনিধি ও আমার সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার বাগেরহাট প্রতিনিধিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ১ নাসির উদ্দিন (৪০ ), পিতা- মোঃ মকসুদ আলী, ২ রিনা আক্তার ( ৩৫ ), পিতা-হানিফ মাষ্টার, ৩ রেনু আক্তার ( ৩০ ), স্বামী নাসির উদ্দিন, আমার প্রতিবেশী।বিবাদীদের সহিত আমার পৈত্রিক জমি নিয়ে পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। পূর্ব বিরোধের জেরে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই।

বিবাদীগন প্রায়ই সময় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তাহারা জোর পূর্বক ভোগ দখল করার চেষ্টা করে। আমি বিভিন্ন সময় বিবাদীদের বাঁধা প্রদান করিলে বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। গত ৩/০৫/২০২৩ ইংরেজি তারিখ সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় আমি আমার বসত বাড়ীতে অবস্থান করা কালে বিবাদীগন আমার বসত বাড়ীতে অনধিকারে প্রবেশ করিয়া আমার বসত বাড়ীর টিনের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে আনুমানিক ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে।

পরবর্তীতে আমার স্ত্রী রহিমা বেগম উক্ত স্থানে উপস্থিত হইয়া বাঁধা প্ৰদান করিলে ১নং বিবাদী হাতে থাকা লাঠিদ্বারা আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার স্ত্রীর মাথায় লাগিয়া কাটা ফাটা রক্তাক্ত জখম হয় । ২ ও ৩ নং বিবাদী আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ী ভাবে লাঠিদ্বারা পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে।
আমার স্ত্রীর চিৎকারে আমিসহ সাক্ষী ১ শান্তা আক্তার ( ৩০ ), স্বামী-টিপু শেখ, ২ অখিল দাস ( ৪৫ ),সহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীদ্বয়

আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আমি সহ উপস্থিত সাক্ষীগন আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করি। বর্তমানে আমার স্ত্রী ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঋগেরহাটে ভর্তি আছে।
ঘটনার বিষয় আমার আত্মীয়- স্বজন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিতে বিলম্ব হইল ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top