খন্দকার ছদরুজ্জামান, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম, স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়ায় নড়াইলে জনপ্রিয় হচ্ছে ভুট্টা চাষ। ধানের তুলনায় স্বল্প সেচ ও বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে আকৃষ্ট হচ্ছে এ জেলার কৃষকেরা। ভুট্টা চাষ করতে কৃষকদের আরো বেশি আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন প্রণোদনা ও প্রকল্পের প্রদর্শনী স্থাপনের মাধ্যমে এবং পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকছে কৃষি বিভাগ। পতিত জমি চাষে আনতে কৃষি বিভাগের নেয়া পরিকল্পনায় জেলার
বিভিন্ন অনবাদি জামিতে এখন চাষ হচ্ছে ভুট্টার। সরেজমিন নড়াইল সদর উপজেলার বাশগ্রাম ইউনিয়নের যদুনাথপুর গ্রামে দেখা যায়, এক সময় যেখানে মাটি, কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হয়েছে ইট। সেখানে এখন চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ভুট্টা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান তার পরিত্যক্ত ইটভাটার জায়গায় গড়ে তুলেছেন বিশাল এক ভুট্টা ক্ষেত। কৃষক জিল্লুর রহমান বলেন,তার ইটভাটার জমি পতিত ছিল। পরে কৃষি অফিস থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়
এবং ভুট্টা চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জিল্লুর রহমান তার ইটভাটার পতিত ১৬৫ শতক জমিতে ভুট্টার চাষ শুরু করেন। চাষাবাদে সার, বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে কৃষি অফিস। তিনি আশাবাদি এ ভুট্টার খেত থেকে বাম্পার ফলন পাবেন এবং আগামীতে ভুট্টা চাষ অব্যহত রাখবেন। পার্শ্ববর্তী এলাকার ভুট্টা চাষী মফিজুর রহমান বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে ১ একর জমিতে কোহিনূর জাতের ভুট্টা চাষ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা
চাষ ভালো। ভুট্টা চাষ খুবই সহজ। পানি সেচের পরিমাণ কম লাগে। ভুট্টার মোচা থেকে গরুর খাবারও পাওয়া যায়। তিনি আশা করছেন শতকে দেড় মণ করে ফলন পাবেন। আগামী বছর তিনি আরো ১ একর বেশি জমিতে ভুট্টার চাষ করবেন। ভুট্টা চাষীদের এমন সাফল্যের সম্ভাবনা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন আরো অনেক। নড়াইল সদর
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, পরিত্যক্ত ইটভাটার এই জমি অনবাদি অবস্থায় ছিলো। কৃষককে উদ্বুদ্ধ করিয়ে সেখানে প্রকল্প ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই অনাবাদি জমিটাকে ভুট্টা চাষের আওতায় নিয়ে এসেছেন। অন্যান্য যেসব জায়গা পতিত আছে পর্যায়ক্রমে তা আবাদের আওতায় আসবে বলে তিনি মনে করেন।