চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বিজিবি সদস্য কারাগারে

 কামরুজ্জামান শিমুল বাগেরহাট :::: চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক বিজিবি সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম এর আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে আদালত বিজিবি সদস্যের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য মামুন জমাদ্দার রাঙ্গামাটি জেলায় ২২

 

বিজিবি বরকলে সৈনিক হিসেবে কর্মরত। সে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী জমাদ্দারের ছেলে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য মামুন জমাদ্দার মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে সিটি ব্যাংক ও বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগীদের কাছে আস্থা অর্জনের জন্য নিজেকে বিজিবির পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিতেন। এজাহারে উল্লেখ মতে

 

মোড়েলগঞ্জের হাসিবুর রহমানের কাছ থেকে ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, মোরেলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের নাজমা আক্তার এর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, ইটালিতে পাঠাবে বলে মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকার নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ও বিজেবিতে পিওনের চাকরির কথা বলে হাসিবুর রহমানের নিকট থেকে আবারও ৮ লক্ষ টাকা, ত্রানের ঘর দেয়ার কথা বলে দেলোয়ার মোল্লার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা এবং তার মোবাইল নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা

 

বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। শহরের হরিণ খানা এলাকার জাহানারা বেগম বাদী হয়ে মামুন জমাদ্দারের বিরুদ্ধে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেছে আদালতে। এই মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে হরিণখানা এলাকায় জনৈক মাসুদের বাড়িতে ভাড়া থাকার সময় ত্রানের ঘর দেওয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে এই এলাকায় আসমা নামের এক কলেজ ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিয়ে ভাড়া

 

বাসাতে থাকতো। আগেও বিয়ে রয়েছে এ কথা জানতে পেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আদালতে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ বাহাদুর ইসলাম জানান , বিজিবি সদস্য থেকে এমন প্রতারণা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। সে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা হাতে নিয়েছে।তার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও প্রতারণা করে বিয়ে করেছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় আমরা আদালতে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top