সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিবেদক:::: বুধবার বেলা ১১টায় চাঁদাবাজদের দৌরত্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন জোবায়ের ফকির নামে এক যুবক। এক লিখিত বক্তবে জোবায়েদ ফকির বলেন আমার নিজ জমিতে মার্কেট নির্মান করকালিন এলাকার জুয়েল ফকির ও সাইফুল্লাহ ফকিরদের অত্যাচারে আমার মার্কেট নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে, আমি আমার মার্কেটের নির্মান কাজ শুরুর দিন দুই চাঁদাবাজ তাদের চাঁদার দাবীতে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি উপায় না
পেয়ে ৯৯৯ (ট্রিপল লাইনে) ফোন করি ফোন করায় মুহুর্তে পুলিশ চলে আসে। পুলিশ আসছে শুনে চাঁদাবাজরা দ্রুত ওখান থেকে পালিয়ে যায়।তখন আমি পূণরায় কাজ শুরু করি। ১৩ দিন কাজ চলমান থাকার পর গত ৬ই এপ্রিল আবারও উল্লেখিত চাঁদাবাজদের নেতৃত্বে ৭/৮/জন এসে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়।এবার প্রশাসনের সহযোগিতার না নিয়ে স্হানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।কারন ওদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। পরে আমি
বিষয়টি ডুমুরিয়া থানাকে অবহিত করি এবং ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গত ১৩ই এপ্রিল আমি আমার ভগ্নিপতি শাহিন মেম্বারকে নিয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারকে স্বশরীরে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার মহোদয় ডুমুরিয়া থানার ওসিকে ঘটনাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের সত্যতা পায়। আমরা পুনরায় ১৫ই এপ্রিল কাজ শুরু করলে জুয়েল ও সাইফুল্লাহ ফকিরের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দেশীয়
রামদা লোহার রড চাইনিজ কুড়াল বাঁশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ও আমার ছোট ভাই বোরাহান ফকিরের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় রামদার কোপে আমার ডানহাত গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় ইং ১৭/৪/২০২৩ তারিখে নিয়মিত মামলা হয়।যার মামলা নং ১১২/২৩ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/১১৪ পে: কোর্ট মামলা রুজু হয়। মামলা ইজাহারের পরে থেকে উক্ত চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।পরে গত ১৯শে এপ্রিল
জুয়েল ও সাইফুল্লাহকে পুলিশ গ্রেফতার করে।তারা এখন জেল হাজতে আছে। বাকি আসামীরা পলাতক থেকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে নানা প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।লিখিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন আরো বলেন ঘরে আমার পঙ্গু বাবা এ ঘটনায় তিনিও অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে দিন
কাটাচ্ছে। আমরা এখন ভিশন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন মুহুর্তে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর পুনরায় হামলা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা জাতির দর্পন।আপনাদের লেখনীয় মাধ্যমে সত্য তুলে ধরে আমার ও আমার পরিবারকে উক্ত চাঁদাবাজদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিন এবং আমার মার্কেট নির্মাণ কাজ যাতে পুনরায় চালু করতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।