ছাতকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে নির্মিত করা হচ্ছে স্থায়ী স্থাপনা

সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ ছাতকের শেষ সীমানা সোনালী বাংলাবাজার সংলগ্ন মাকুন্দা নদীর পাড়ের সরকারি জমি অবৈধ ভাবে বিক্রি করছে স্থানীয় একটি মহল। তারা সরকারি জমি বিক্রির জমজমাট ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। সরকারি জমি অবৈধভাবে ক্রয় করে আরেকটি মহল ক’টি স্থায়ী দোকান কোটা নির্মাণে কাজ শুরু করেছে। সরকারি জমি দখলের খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা আশিষ কুমার চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ ভাবে দোকান কোটা নির্মাণের কাজ বন্ধ করার

 

নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দোকান নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাকুন্দা নদীর তীরবর্তী সরকারি জমি ক্রয়-বিক্রয় চলছে অনেক আগ থেকেই। সম্প্রতি এসব সরকারি জমিতে স্থায়ী পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ কাজের খবরে ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা জমি পরিমাপ করে জমিতে লাল প্রতাকা টানিয়ে সরকারি জমি চিহ্নিত করেছেন। এর পরও সরকারি জমিতে দোকান ও মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে। বাজার পরিচালনা

 

কমিটির দায়িত্বশীলরা সরকারি এসব জমি ক্রয়- বিক্রয়ের সাথে জড়িত বলে তারা জানিয়েছেন। সোমবার (২৪এপ্রিল) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে একটি মহল। নির্মাণাধীন মার্কেটের পশ্চিম দিকে সরকারি জমিতে একটি টংগী দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।ওই ব্যবসায়ীকে টংগী দোকান নিয়ে সরে যেতে বলেছেন বাজার কমিটির লোকজন। তাকে সরিয়ে পশ্চিম

 

দিকের আরো কিছু সরকারি জমি দখল করে বিক্রির প্রক্রিয়াও চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের ক’জন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। বাজার সংলগ্ন সরকারি জমি বিক্রির বিষয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফয়েজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা, ইউপি সদস্য হিরন মিয়া এ ব্যাপারে জানান, বাজার পরিচালনা কমিটি ও বাজার মসজিদের

 

উন্নয়ণের সার্থে কিছু জমি বিক্রি করেছেন তারা। জমিতে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিষয় তার জানা নেই। সোনালী বাংলাবাজারে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন জানান, বিষয়টি তার জানা রয়েছে। ঘটনা জানার পর তিনি তাৎক্ষনিক ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (জাহিদপুর) আশিষ কুমার চক্রবর্তীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। অবৈধভাবে সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ স্থাপনা নির্মাণ করতে যায় তবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিধি মোতাবেক সকল পদক্ষেপ সরকারি ভাবে নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top