স্টাফ রিপোর্টার :::: পাটকেলঘাটা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিও ডব্লিউ ডি বিনামূল্যে বিতরণ ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির রেশন কার্ডের চাউল১৫টাকা কেজি দরের বস্থায় কম দেওয়ার দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার রায় এর অগোচরে চলছে এসব ঘটনা। পাটকেলঘাটা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ওসি এল এস ডি হাসান সকল কার্যক্রমে অনিয়ম দূর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলে করছে ভাগ বাটোয়ারা সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের
থেকে শুরু হয়। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হাসান মিল ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ খুধা হবে নিরুদ্দেশ। খাদ্য অধিদপ্তর এর কর্মসুচির কয়েক টি ডিলার থেকে উপকার ভুগী কার্ডধারীরা ১৫ টাকা দরে (৩০)কেজি চাউল ক্রয় করে। কার্ডধারী কবিরুল ইসলাম (কবির) বলেন চাইলের বস্তা ওজন করে ২৯কেজি (৪শ) গ্রাম চাল হয়েছে,। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রেশন কার্ড ভুক্তভোগী অভিযোগ
করে বলেন আমাদের বস্তায়ও চাল কম হয়েছে। এদিকে ১৭এপ্রিল সোমবার সকাল ১০ টায় কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে,ভিও ডব্লিউ ডি প্রকল্পের অসহায় দুস্ত পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরনের জন্য মাসিক (৩০) কেজি চাউলের বস্তা স্তুপ করে রাখা তা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা (৯)টি বস্তা ওজন করে এবং ৭টি বস্তায় চাল ওজনে কম পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার সাথে
ফোনে বলেন, প্রায় প্রত্যেকটা চাউলের বস্তায় ৫০০ গ্রাম ৬০০ গ্রাম করে চাল কম আছে।আরো বলেন আমাদের যে চাল বস্তায় কম আছে ও গুলো পরে পূরণ করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন গোডাউন কর্মকর্তা। ইউপি সদস্য মহাদেব হোড় বলেন, গোডাউন থেকে চাল নিয়ে এসে ওজন দিয়ে দেখি প্রত্যেক বস্তায় চাল কম আছে। এবং কিছু কিছু বস্তায় চাউল নিম্নমানের রয়েছে যা খাওয়ার অনুপযোগী, এদিকে কর্মসূচির আওতায় থাকা চাল নিতে আসা রেশন কার্ডধারি, বাবুর আলী, মইনুর রহমান,
আজিবর শেখ,আব্দুল আলিম,ওজন করে, পাটকেলঘাটার কুমিরা পুকুরপাড় মোড়ে অবস্থিত ডিলারে বস্তায় চাল কম থাকার ঘটনা ঘটে। উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে, খাদ্যবন্ধক কর্মসূচির আওতায় তালা উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৫৮ জন রেশন কাডধারী চাল পেয়ে থাকেন। ভিও ডব্লিউ ডি প্রকল্পের বিনামূল্যে বিতরণ উপকার ভোগী ২৩৩৩ জন কার্ডধারী চাল পেয়ে থাকেন। এদিকে হিসাব কশে দেখা গেছে যখনই দুটো প্রকল্পের চাউল একসাথে গোডাউন থেকে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বস্তায় ৫০০ গ্রাম
করে কম হলে। ৮ হাজার( ৪শ) ৪৪ কেজি চাউল কম হয়। আনমানিক এক কেজির মূল্য ৩০ টাকা দরে ধরলে ও সরকারের দেওয়া প্রকল্প থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে. ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩শত ২০টাকা এ দায় কে নেবে। খাদ্য বান্ধব ও, ভি ও ডব্লিউ ডি দুটো প্রকল্পের ৩০ কেজি বস্তায় চাল কম হওয়ার বিষয় টি জানতে চাইলে, উপজেলা
খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার রায় জানান। আমি এখনই টিম পাঠাচ্ছি বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা মিললে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব । পাটকেলঘাটা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসি. এল . এস ডি) জানান, আমাদানী করা চাউলের বস্তায় কম দেওয়ার সুযোগ নেই।তবে ডিলারদের নিয়ে যাওয়ার সময় বস্তা থেকে থেকে পড়ে গিয়ে কম হলে সে দায় আমার নয়। এবিষয়ে লেখালিখি করে আর কি হবে আপনারা সবাই আমার ভাই।