সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ ছাতকে চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গী গ্রামে দু”পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা সহ অন্তত ৬০ জন লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জমিতে বোরোধান কাটা নিয়ে কামরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলতাব আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার কয়েছ মিয়া ও একই গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র ছোয়াব আলী পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র রমজান মাসে
তাদের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জুবেল মিয়া (১৪), বদরুজ্জামান (৬০), জাহেদ হোসেন (২০), ছায়া বেগম (৪০), আব্দুল আমিন (৩২), কদর আলী (৩৮), খিজির আহমদ (২১), আব্দুল মন্নান(৩৫), মামুন মিয়া (১৮), আতিক মিয়া(৩০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলী হোসেন (২৫), আলা উদ্দিন (৫০), সুলতান মিয়া (২১), আলী আমজাদ (২৮), হোসাইন আহমদ (৩০), বিলাল
আহমদ (৩৫), হুমায়ুন আহমদ (২৮), মঈন উদ্দিন (৩২), কামাল উদ্দিন (২৭) সহ আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় দু’পক্ষের মধ্যের বিরোধ অতি পুরানো। তাদের চলমান বিরোধের কারণে গ্রামের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ রমজান সন্ধ্যায় ওই দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ সংঘর্ষেও কমপক্ষে ৫০ ব্যাক্তি আহত হয়েছিলেন। তাদের পক্ষে-বিপক্ষে থানা ও আদালতে রয়েছে একাধিক মামলা।
শনিবার পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক মেম্বার কয়েছ মিয়া তার নিজ জমিতে বোরোধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ ছোয়াব আলীসহ লোকজন এতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী দু’পক্ষের সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ও ব্যাপক ইট পাটকেলের ব্যবহার করা হয়েছে। জাউয়াবাজার পুলিশ
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহমেদ উল্লাহ ভুঁইয়া জানান, সংঘর্ষের পর কৈতক হাসপাতালে এসেও দু’ পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে