ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : বগুড়া শেরপুর শাহবন্দেগি ইউনিয়নে কিষ্টপুর এলাকার সালেহা বেগম ৬৫ এর ২৯ শতাংশ জায়গা জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার শাহজামাল, ইব্রাহিম, হামিদা খাতুন,দৌলত,রাজু পারভিন জুলেখা খাতুন ও রহিমা বেগম এর বিরুদ্ধে। সর জমিনে গিয়ে জানা যায়,৪৫ বছর পূর্বে শেরুয়া মৌজার সাবেক ৭২৭ দাগ যাহার হাল দাগ ২৩৩৬ সেলস অফ এগ্রিমেন্ট এর ২৯ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ পায় সালেহা (৬৫)। সুখেই চলছিলো স্বামী ও সন্তান নিয়ে
সালেহার বেগম এর সংসার,তার নামে থাকা সরকারি সেলস অফ এগ্রিমেন্ট এর ২৯ শতাংশ জায়গাই যেনো কাল হয়ে দাড়িয়েছে ৬৫ বছরের সাহলেহা বেগমের। আনুমানিক ১৯৮৪ সালে সলেহার স্বামী সুলতান তার মামাতো ভাই ইব্রাহিম ও শাহ জামাল কে দিনাজপুর জেলা থেকে বগুড়ার শেরপুর শাহবন্দেগি ইউনিয়নের কিষ্ঠপুর গ্রামে তার স্ত্রী সালেহার জায়গায় থাকার জন্য ঘর তুলেদেন। সেখানেই বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকা শুরু করেন ইব্রাহীম ও তার ভাই শাহ জামাল।কিছুদিন পর সালেহার
নামে থাকা ২৯ শতাংশ জায়গার উপর লোভ ও চোখ পরে ইব্রাহিমের।সালেহা বেগম সহজ সরল হওয়ায় ওই ২৯ শতাংশ জায়গার উপর কু নজর দিয়ে সালেহাকে বিভিন্ন কুবুদ্ধি দিয়ে সালেহার সাংসারে ভেজাল বেধে দেয় ইব্রাহীম। ইব্রাহীমের বুদ্ধি ক্রমে সালেহার সুখের সংসারে শুরু ভাঙ্গুন।অবশেষে তিন সন্তান রেখে স্বামী সুলতানকে তালাক দেয় সালেহা।তালাকের কিছুদিন পর ২৯ শতাংশ জায়গার লেভে সালেহাকে বিয়ে করেন ইব্রাহীম।বিয়ের পর থেকেই ২৯ শতাংশ জায়গা নিজ নামে ও দখলে
নিতে চায় ইব্রাহিম ও তার ভাই শাহ জামাল।কেঁদে কেঁদে এমনটাই বলছিলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সালেহা।সালেহার ২৯ শতাংশ জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সালেহার সন্তানেরা। এরি ধারাবাহিকতায়,বিগত কিছুদিন পূর্বে শাহ জামাল, ইব্রাহিম, দৌলত,এই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে।এ নিয়ে বগুড়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন উক্ত জায়গার প্রকৃত মালিক সালেহা বেগম,যাহা চলমান রয়েছে, মামলা নং ২২৯ পি/২০২৩(শেরপুর) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত জায়গার উপর ১৪৪ /
১৪৫ ধারা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জায়গার উপর, শাহজামাল, ইব্রাহিম,দৌলতরা মিলে পাঁচতালা বাড়ি নির্মাণ করিতেছে এবং নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে সালেহাকে মারপিট করে ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে সালেহা বেগম বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে শেরপুর থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।