খন্দকার ছদরুজ্জামান, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:::: নড়াইলে লোহাগড়া উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এ অফিসে ছাপা খতিয়ান বিতরণ, মাঠ জরিপ ও আপত্তি শুনানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সব কাজে সাধারণ মানুষেকে দিতে হয় ঘুস। ঘুস ছাড়া কোনো কাজই ওই অফিসে হয় না। বিভিন্ন কাজের জন্য প্রকাশ্যে ঘুস নিচ্ছেন ওই অফিসের কর্মচারী,কর্মকর্তা ও দালালরা । এ ঘটনায় এলাকায়
ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসে উপজেলার বিভিন্ন মৌজার ছাপা খতিয়ান বিতরণের পাশাপাশি উপজেলা বিভিন্ন মৌজার মাঠ জরিপের কাজেও ওই অফিসে খোলামেলাভাবেই চলেছে ঘুস বাণিজ্য। অফিসের ঝাড়ুদার, পিয়ন, পেশকার, সার্ভেয়ার, অফিস সহায়কসহ গঠিত চক্রের মাধ্যমে আদায় করছে মোটা অংকের ঘুসের টাকা। সরেজমিন সেটেলমেন্ট অফিস ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে প্রথম গেট দিয়ে ঢুকেই
বাম হাতের পাশেই একটি ভবনের ১ম তলায় সেলেটমেন্ট অফিস অবস্থিত। এছাড়া পর্চা ও নকশা(ম্যাপ ) দিতে নিচ্ছেন প্রকাশ্যে অতিরিক্ত টাকা, দিতে না চাইলে ভুক্তভোগীদের পোহাতে হয় নানা লাঞ্ছনা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন, জমির কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও মাঠ জরিপ শেষে প্রতিপক্ষরা হয়রানিমূলকভাবে আপত্তি তুলেছেন। সেসব জমির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুসের টাকা আদায় করছেন অফিসের বিভিন্ন কর্মচারী, কর্মকর্তারা। পর্চার
নকল দেওয়ার নামে আদায় করছেন অতিরিক্ত নগদ টাকা। ওই অফিসে নগদ অর্থ গ্রহণের চিত্র দেখে মনে হয়, এ যেন কোনো সরকারি অফিস নয়, দুর্নীতি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্য। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার প্রকাশ্যে ঘুস নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তাদের কর্মচারীদের ডাক দেন এবং তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার আজগর আলী বলেন,অফিসে ঘুস, দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই কাম্য নয়। লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসে অবৈধ ঘুস নেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।