সাগর কুমার বাড়ই জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ খুলনার দাকোপ উপজেলার সাহেবের আবাদ গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী খুশি জোয়ারদারের বাল্য বিবাহ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা ঝড় উঠেছে । খুলনার দাকোপ উপজেলার ২নং দাকোপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাহেবের আবাদ গ্রামের সমারেশ জোয়ারদারের কন্যা খুশি জোয়ারদারের সাথে একই উপজেলার ৭ নং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তিলডাঙ্গা গ্রামের দীলিপ সরদারের বড় পুত্র তন্ময় সরদারের সাথে গোপনে বাল্যবিবাহের অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তিলডাঙ্গা গ্রামের দীলিপ সরদারের ছেলে তন্ময় সরদার এর বাড়িতে অনুসন্ধানী টিম অবস্থান করেন।
তখন তন্ময় সরদারের মা, ছোট ভাই চিন্ময় সরদার,ও বাবা দিলীপ সরদার পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন,তার ছেলে তন্ময় সরদার ঢাকায় একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করেন। তন্ময় সরদারের বাবা দীলিপ সরদার সাংবাদিকদের বলেন, সাহেবের আবাদ গ্রামের সমারেশ জোয়ারদার তাঁর আপন শ্যলক । মেয়ের পিতা তাঁর নিকট আত্মীয় ও খুশি মেয়েটা দেখতে সুন্দর বলেই আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার লক্ষ্যে দেখে শুনে আমার ছেলের বৌ করেছি। তন্ময় সরদারের মা জানান, তন্ময় আমার বড় ছেলে আমার ছেলের জন্য বিভিন্ন জায়গায়
মেয়ে দেখছিলাম। অবশেষে পোদ্দার গন্জ বাজারের সমারেশের মেয়ে দেখতে সুন্দর তাই আমার ছেলের জন্য বৌ করেছি। তিনি আরো বলেন, গোপনে বটিয়াঘাটায় আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিবাহ করিয়েছি । তন্ময় সরদারের ছোট ভাই চিন্ময় সরদার সাংবাদিকদের বলেন, আসলে বাল্যবিবাহ আইনের দৃষ্টিতে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছি আমরা । তিনি আরও বলেন, আমার দাদার বয়স পুরোপুরি। আমার দাদা প্রাপ্ত বিয়ের বয়সের যুবক।
তার বয়স ঠিক আছে। কিন্তু আমার বৌদির বয়সে নাবালিকা । সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে ঐ এলাকার ইউপি সদস্য নিশিত বাছাড়কে মোবাইল কল করলে তিনি বলেন, আমি শুনিছি যে, বিবাহ হয়েছে। সেটা গোপনে বিবাহ হয়েছে, বাইরে কোন এক এলাকা থেকে এই বাল্য বিবাহ হয়েছে বলে ইউপি সদস্য জানান । ইউপি সদস্য
আরোও বলেন, এটা খুব খারাপ কর্ম কান্ড । বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকার সব সময় কঠোর ভূমিকায়। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই। বাল্য বিবাহের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্য । আমি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধের আপোসহীন ভাবে কাজে করি । পরবর্তীতে অনুসন্ধানী টিম উপস্থিত হয় পোদ্দার গঞ্জ খেওয়া ঘাট সংলগ্ন সমারেশের চায়ের দাকানে অবস্থান করে আরো অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। চায়ের দোকান বন্ধ দেখে , পরবর্তীতে যাওয়া হয় সমারেশ জোয়ারদারের বাড়িতে। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায় না। জানা যায়, সবাই তরমুজ ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে এবার অনুসন্ধানী টিম ঐ এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব বিশ্বজিৎ বাবুর সাথে সরাসরি কথা বলেন।
মেম্বার বলেন, এখানে আমি যতটুকু জেনেছি, বিবাহ হয়ে গেছে। মেয়েটির হাতে সাখা ও কপালে সিদুর নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি জানি আমার ওয়ার্ডে বিবাহ হয়নি।
এ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বাইরে কোথাও তিনি জানান এক কথায় মেয়ের বয়স কম। সে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। আমি কখনো বাল্যবিবাহের পক্ষে নই । এবার অনুসন্ধানী টিম এলাকার বিভিন্ন জায়গায়, খবর নিয়ে জানতে পারেন, গত ইং ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার, বাংলা ২৪ শে ফাল্গুন তারিখে বটিয়াঘাটা উপজেলার কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। । দাকোপ উপজেলা বাসী , দাকোপ উপজেলা প্রশাসন সহ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি, দাকোপ উপজেলা কিশোর -কিশোরী ক্লাব, ব্র্যাক সমিতির নারী শিশু আইন সহয়তা কমিটি, দাকোপ উপজেলা নব যাত্রা ও সহ সকল সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিক বৃন্দ জানিয়েছেন ।