রূপসায় বিল জাবুসায় জমিতে লবন পানি বন্ধে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ- তদন্তে এসিল্যান্ড

শেখ আশিকুর রহমান (বাবু)রূপসায় খুলনাঃ রূপসায় বিল জাবুসায় জোরপূর্বক ইরি আবাদের জমিতে লবন পানি ঢোকানো বন্ধে গত ২৮ মার্চ ভূক্তভোগী কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজজাদ হোসেন আজ রবিবার (২ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিন তদন্তে যান। এ সময় নৈহাটী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এমএম মনিরুজ্জামান সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনিকে বেডে লবন পানিসহ বালু ফেলতে নিষেধ করেন এসিল্যান্ড। অভিযোগে বলা হয়েছে, রূপসা

উপজেলার কতিপয় কৃষক গত কয়েক বছর ধরে রূপসা খানজাহান আলী (রহঃ) সেতুর অদূরে বিল জাবুসায় ইরি ধানের আবাদ করে আসছে। চলতি মৌসুমেও ইরি ধানের আবাদ করেছেন। কিন্তু জমির পশ্চিম পার্শ্বে জাবুসা গ্রামের বাসিন্দা নৈহাটী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কৃষি জমির উপর বালুর বেড বানিয়ে বহাল তবিয়তে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছেন। প্রতি বছর ইরি মৌসুমে বালু ব্যবসায়ী মনি বালু উত্তোলন করে পাইপযোগে বেডে ফেলে। এ সময় নদীর লবন পানি জমিতে ঢুকে ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। গত বছরও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন

কৃষকরা। লবন পানি জমিতে ঢুকানো বন্ধের ব্যাপারে মনির সাথে কৃষকরা কথা বলতে গেলে তিনি রেগেমেগে ওঠেন এবং খারাপ আচরণ করেন। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি জমিতে লবন পানি ঢুকানো বন্ধ করা না যায়, তাহলে প্রায় চল্লিশ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভূক্তভোগী কৃষকরা সংশ্লিষ্ট ইউএনও দপ্তরে গত ২৮ মার্চ লিখিত অভিযোগ করেন। ভূক্তভোগী কৃষকরা হলেন বাগমারা গ্রামের হানিফ শেখ, আবুল হোসেন হাওলাদার, জাবুসা গ্রামের মোঃ রোমিজ শেখ, মোঃ নূর ইসলাম, সালেক হাওলাদার, বাগমারা গ্রামের মোঃ সোহেল শেখ সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া কৃষি জমিতে বালুর ব্যবসা করা যাবে না। এমনকি বাণিজ্যিক কাজেও যদি কৃষি জমি ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রেও জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top