নড়াইলে জাতীয় ভোক্তা- অধিকারের কর্মকর্তা বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অস্বচ্ছতা, দুর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ

খন্দকার ছদরুজ্জামান,জেলা প্রতিনিধি,নড়াইলঃ নড়াইলে জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামানিকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অস্বচ্ছতা,দুর্নীতি ও অনিয়মের বিচার চেয়ে জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও নড়াইল জেলা প্রশাসক বরাবরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন ভুক্তভোগী। সেই সাথে এর অনুলিপি পাঠিয়েছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), মহাপরিচালক ডিজিএফআই, জেলা পুলিশ সুপার নড়াইল, সিআইডি এসপি নড়াইল, চেয়ারম্যান জাতীয় সাংবাদি সংস্থা ও ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার ফাউন্ডেশন ঢাকা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ডিডি নড়াইল,জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকা, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নড়াইল, জেলা প্রেসক্লাব নড়াইল, জেলা সাংবাদিক ইউনিটি নড়াইল, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি নড়াইল, লোহাগড়া প্রেসক্লাব নড়াইল,কালিয়া প্রেসক্লাব নড়াইল সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় টিভি নড়াইল জেলা প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউর রহমান জামী বিগত ২৭/১১/ ২০২২ তারিখে রূপগঞ্জ হাতিরবাগান মোড়ে অবস্থিত রাজু সেনেটারির মালিক আসাদ ওরফে মদনের নিকট ১১ ফুটের ও ১২ ফুটের ৩৮ টা পিলার ক্রয়ের পূর্বে কথা হয় প্রতিটা পিলারের ভিতরে ৮ মিলি লোহার রড দিয়ে ঢালাই করা পিলার দেবে। সেই মোতাবেক আসাদ ওরফে মদন সাংবাদিক জামী’র নিকট পিলার সরবরাহ করলে তার টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু কাজ করতে গেলে আঘাত লেগে একটি পিলার ভেঙে গেলে তার ভিতর কাঙ্খিত রডের বদলে জিআই তার পাওয়া যায়। এতে সাংবাদিক জামী প্রতারিত হয়ে নড়াইলে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালকের নিকট আসাদের ওরফে মদনের বিরুদ্ধে

প্রতারনার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । সদর থানার মামলা নাম্বার ৩২৬/২২। থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রকাশ্যে এবং গোপনে তদন্ত করে আসাদ সহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় অপরাধ সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রকাশ্যে বিচারের নিমিত্তে আসামিগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
কিন্তু দেখা যায় যে, ঘটনটি দিনের আলোর মত সত্য ও বাস্তব প্রমান থাকা সত্ত্বেও নড়াইল এ জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামানিক বিশেষ কিছু নিয়ে বাস্তব ঘটনা আড়াল করে দুর্নীতিগ্রস্ত,নীতিভ্রষ্ট হয়ে স্বেচ্ছাচারী আচারন করে সাংবাদিক জামী’র অভিযোগের মূল বিষয়বস্তু উপেক্ষা

করে প্রতারকের পক্ষ নিয়েছেন। এঘটনায় প্রণব কুমার প্রামাণিক ও ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে সত্যতা ও সচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক জামী এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত-পূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।এছাড়াও জেলার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।নড়াইলের সাংবাদিক সমাজ, সুধী সমাজ ও বিশিষ্ট জনের অবিলম্বে এই ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্ব কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন। এ বিষয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামানিক বলেন, বিজয় টিভির সাংবাদিক জিয়াউর রহমান জামীর ভোক্তা অধিদপ্তর একটি মামলা ছিল মামলা টাই বিপরীত পক্ষ রায় পেয়েছিল । আমার রায় মনে হয় তার পছন্দ হয়নি । এজন্যই তিনি আমার উপর রাগ হয়েছে। আর সেজন্যই তিনি এই অভিযোগটা দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top