রিপোর্ট : ইমাম বিমানঃ ঝালকাঠির বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন রোধে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মগড় ইউনিয়নস্থ নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় জেলার নলছিটি উপজেলাধীন মগড় ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনগন বালু উত্তোলন রোধে বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, সদস্য শন্তু মিত্র, মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য (৫নং ওয়ার্ড) জামাল খান, মগড় সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, মগড় ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার নুর আলমসিদ্দিকী ,আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি সহ কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। সড়ক অবরোধের কথা শুনে ঘটনাস্থলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টরট (এনডিসি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রে অংছিং মারমা উপস্থিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দেন একই সাথে এ বিষয় মানববন্ধনে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা শুনেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের
নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ( এনডিসি ) অংছিং মারমা ঝালকাঠি-বরিশাল সীমান্তবর্তী কালিজিরা নদীর এপারে ঝালকাঠি সিমান্তে কালিজিরা ব্রীজের পশ্চিম পাড়স্থ পূর্ব রায়াপুর কালিজিরা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কের পাশে বালু রেখে বালু মহল গড়ে জন সাধারনের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি বিষয়টি নজরে আসলে বালুমহল ব্যবসায়ীর ম্যানেজার বরিশাল সিএন্ডবি পুল এলাকার মৃত আবদুল হামিদ বেপারীর ছেলে আব্দুল হালিম ও বালু মহল ব্যবসায় সহযোগীতা করায় বালু ব্যবসায়ীর ভাতিজা পরিচয়দানকারী চরমোনাই চরহোগলা এলাকার সামসুল আলমের ছেলে মাসুম খানকে আটক করেন।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ( এনডিসি ) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রে অংছিং মারমা ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে আব্দুল হালিমকে ১ বছর কারাদণ্ড সহ ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মাসুম খানকে ১বছর কারাদণ্ড সহ ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে অবৈধভাবে মজুদ করা এক লক্ষ সিএফটি ভিটি বালু জব্দ করেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি )অংছিং মারমা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ২জনকে মোট ১০ লাখ ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে । জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।