মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে কলকাতা থেকে-৪ নারী

খন্দকার সাইফুল নড়াইলঃ ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন চার নারী। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে গতকাল বিকেলে ডা. আরজুমান্দ জায়েদির নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী কাশিশ খানম, আনুষ্কা ও পারমিতা ডাঙ্গওয়াল নড়াইল জেলা সীমান্তে প্রবেশ করেন। ‘গান্ধী পিস ওয়াক-২০২৩’ শিরোনামে একটি ব্যানার এবং বাংলাদেশ ও ভারতীয় পতাকা বহন করে চার ভারতীয় নারীকে নড়াইলের বিভিন্ন রাস্তা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে দেখা যায়। কলকাতার গান্ধী

ভবন, ইন্টারন্যাশনাল আর্ট এক্ট এবং বাংলাদেশের গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে এই পদযাত্রা বলে জানিয়েছেন দলনেতা ডা. আরজুমান্দ জায়েদি। গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ পদযাত্রা। ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এ পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে। চার সদস্যের এই দলটি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ওই রাতে যশোর সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নিয়ে দলটি আজ শুক্রবার নড়াইলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জের পানামা সিটিতে পৌঁছবেন আগামী ১৪ মার্চ।

১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এ যাত্রা শেষ হবে বলে জানান দলটির প্রতিনিধি। ভারতীয় এ দলটির সঙ্গে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের সুজন নবী নামের এক সহযোগী প্রতিনিধি পদযাত্রা সফল করতে নির্দেশক হিসেবে কাজ করছেন। শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী ডা. আরজুমান্দ জায়েদি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর শান্তি ও অহিংসার বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেছি। সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান) প্রথমে শান্তির বার্তা পৌঁছেদিতে চাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রার অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে আমার

আন্তর্জাতিক প্রথম পদযাত্রা বাংলাদেশে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তন করতে হলে যুবদের হাত দিয়েই করতে হবে। সারা বিশ্বে প্রায় চল্লিশ হাজার যুব স্বেচ্ছাসেবী আমার সঙ্গে যুক্ত আছেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি আমি যুবদের নিয়ে সারা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সুন্দর পৃথিবী গড়তে চাই। ডা. আরজুমান্দ জায়েদি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ। আমাদের পদযাত্রায় এ দেশের সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তা করছেন। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুন্দরভাবে দেখভাল করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top