ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রাঁধুনী কির্তীমতী সম্মাননা পদক- পেলেন রেহানা পারভীন

রানা মোল্লা দিঘলিয়া প্রতিনিধি: – তিনি একজন কবি, কবিতা লিখেন, প্রচলিত ধারার কবিতা নয়, কিছুটা ভিন্নধর্মী। তার রচিত ও প্রকাশিত দু’টি কাব্যগ্রন্থ “ভুলভুলাইয়া” ও “নেমেসিসের ঘরবাড়ি” দারুণ পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি একজন আবৃত্তি শিল্পী, অসাধারণ আবৃত্তি করেন। যে কোন কবিতা তার চমৎকার কন্ঠে জীবন্ত হয়ে উঠে। উপস্থাপনায়ও তিনি সমান পারদর্শী। তিনি একজন সরকারী চাকুরিজীবি, অধিষ্ঠিত আছেন দায়িত্বপূর্ণ পদে। নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে আছে

চারদিকে। তিনি দেশের অন্যতম একজন সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন শাখায় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে বহুবার স্বর্ন ও রৌপ্য পদক সহ অসংখ্য পদক পেয়েছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম মানবী। এ্যাথলেটিকস জীবনের সমাপ্তি টেনে তিনি এখন ক্রীড়া সংগঠক। এতক্ষণ আমরা যার কথা বলছিলাম তিনি হচ্ছেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ “রেহানা পারভীন”। তিনি একাধারে চাকুরীজীবি, লেখক, আবৃত্তি শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, একজন মা,

একজন স্ত্রী, একজন রাধুনি, বহুগুণে গুণান্বিত একজন নারী। গত ০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তাকে রাঁধুনী কির্তীমতী সম্মাননা পদক ২০২২ প্রদান করা হয়। জন্মসূত্রে তিনি রাজশাহীর মেয়ে, বৈবাহিক সুত্রে দিঘলিয়া তথা খুলনার পুত্রবধু। রেহানা পারভীন এর স্বামী দিঘলিয়ার কৃতি সন্তান

মিলজার হোসেনও বাংলাদেশ এর একজন কৃতি এথলেট। তিনি সিউল অলিম্পিক, সাফ গেমস সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব কীরেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক। উল্লখ্য সাংবাদিকতা, জনহিতৈসী কাজ ও নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখার জন্য আরও তিনজন নারীকেও এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্কয়ার গ্রুপের এমন আয়োজন নি:সন্দেহে নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top