জয়নাল আবেদিন চট্টগ্রাম ::: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার দক্ষিণ মহাদেবপুর ৬ নং ওয়ার্ডের নলুয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে গর্ত করে পিলার স্থাপনের কাজে চরম ভোগান্তির শিকার ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।দীর্ঘদিন ধরে ওই রেল ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচল করলেও বর্তমানে রেল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অবৈধ ওই রেল ক্রসিংয়ে পিলার স্থাপন করার কার্যক্রম শুরু হয়।এতে বেকাদায় পড়ে স্থানীয়রা।মূলত জনবহুল ওই এলাকার দুটি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক।এছাড়া কৃষকের উৎপাদিত ফসলি জমি বাজারজাত ও খামারীদের যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে কৃষক ও খামারীরা লোকসানের সম্মুখীন হবেন।
স্থানীয়রা জানান,বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এম.জি এস.পি প্রকল্পে সীতাকুণ্ড পৌরসভা কর্তৃক অধীনে দীর্ঘ এক কিলোমিটার এই সড়কের নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।সম্প্রতি মিরসরাইয়ে অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।সেই সুবাদে এই ক্রসিংয়ে গর্ত করে রাখা হয়েছে পিলার স্থাপন করার জন্য।কিন্তু জনবহুল এই সড়কের ক্রসিং বন্ধ করলে এখানকার দোকানী,চাকুরী,ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি পোহাতে হবে। ইতিমধ্যে গর্ত করে রাখার কারণে এবং রেল লাইনের পাশে থাকা মাটি সরিয়ে নেয়ার কারণে যানবাহন চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে।এই এলাকায় কারো বাড়িতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবেনা।এছাড়া
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে শিশু থেকে মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধ /বৃদ্ধার বিপাকে পড়বেন।মোটকথা বলা যায় বিভিন্ন জরুরি কাজে এই এলাকার সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে।এই বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক পূর্ব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে অনুলিপি পাঠিয়েছি।শিঘ্রই এই সমস্যার প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।ওই রেল ক্রসিংয়ে অস্থায়ী গেটম্যান দেওয়ার ও দাবি জানান তারা। অনুলিপি অনুসারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এম.জি. এস.পি প্রকল্পে সীতাকুণ্ড পৌরসভা কর্তৃক ওই সড়কের নির্মাণ করা হয়।২২ ফুট প্রশস্ত সড়কটি হাইওয়ে রোড
থেকে রেল লাইনের উপর দিয়ে ক্রস হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার অতিক্রম করে পূর্বদিকে পাহাড়ের পাদদেশে তীর্থস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত।আমাদের গ্রামে ৩ টি মসজিদ,১টি মাজার, অনেকগুলো খামার ও কৃষি ফসলি জমি রয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সড়ক সড়ক রেল ক্রসিংয়ের মধ্যখানে সড়কের উপর জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।এমতাবস্থায় নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী স্থানীয়রা। সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজিম উদ্দিন বলেন,আসলে এই বিষয়টি আমাদের পর্যায়ে পড়েনা।এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।অবৈধ
রেল ক্রসিংয়ে বিষয়ে আমরা কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারবোনা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন,আসলে এই সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত নই,এটি টপ লেভেল থেকে আসছে।এছাড়া এটা আমি অবৈধ রেল ক্রসিং বলবোনা এটি হচ্ছে অনুমোদনহীন।আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন অনুমোদনহীন রেল ক্রসিং গেইট গুলো বন্ধ করে দিবে।সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় খুবই কম।এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট স্থানীয়রা
জানাতে পারেন। তাছাড়া আমাদের পক্ষে অবৈধ গেট/অনুমোদনহীন গেট অপেন রাখা কষ্টকর হবে।তিনি বলেন যেহেতু পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক বরাবরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন উনি পূর্বাঞ্চলীয় সবোর্চ্চ কর্মকর্তা তিনি বিষয়টি দেখবেন। এই বিষয়ে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) চট্টগ্রাম এর কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।