জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড: ::: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্র উপকূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ প্রভাবশালী চেয়ারম্যান চক্রের বিরুদ্ধে।সীতাকুণ্ডের কুমিরা,বাঁশবাড়িয়া,বাড়বকুণ্ড ও মুরাদপুর ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকতে ধারাবাহিক বালু উত্তোলনে জৈব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে।বালু উত্তোলনের বিষয়টি একাধিকবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে চাপের মুখে সাময়িক বালু উত্তোলন বিরত থাকলেও কয়েক মাস পর আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বালু খেকোরা।
আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সীতাকুণ্ড মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ও কুমিরা সমুদ্র সৈকতে দিন দুপুরে বালু উত্তোলনে মত্ত প্রভাবশালী চক্র।এতে বীচের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অদূরে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।এদিকে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনার আইন ২০১০ এর ৬২ ধারার ১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বালি বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বালি বা
মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ বা তাহাদের সহায়তাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২ বৎসর কারাদণ্ড বা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্র উপকূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে চেয়ারম্যান চক্র।কিছুদিন এসব কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে আবারো বালু উত্তোলনে মত্ত থাকে।এতে করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যার পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট ডুবে যায়।অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে
কুমিরা বাঁশবাড়িয়া,বাড়বকুণ্ড ও মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা।পরিবেশ বিপর্যয় বন্ধ করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা। সমুদ্র উপকূলে বালি উত্তোলনের অভিযোগের বিষয়ে বাঁশবাড়িয়া চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।যদি কেউ বালি উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।রাজনীতি করি বলে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে অনেকে হয়তো প্রপাগান্ডা ছড়াতে পারে।সমুদ্র উপকূলে বালি
উত্তোলনের সঙ্গে আমি জড়িত নই। কুমিরা ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন,আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।কে বা কারা করছে এসব জানা নেই আমার।একি কথা বলেন মুরাদপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল করিম।স্থানীয় মেম্বার মোঃ সফি বলেন,কিছু গুন্ডা পান্ডা ভাড়া করে এসব কার্যক্রম করছে।তবে কে বা কারা জড়িত তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না।তবে তিনি ইঙ্গিত করে বলেন ধণাঢ্য ব্যক্তিদের দ্বারা এহেন কর্মকাণ্ড সম্ভব। কুমিরা ও গুলিয়াখালী সমুদ্র
সৈকতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা’র উপ পরিচালকের কাছে জানতে মুঠোফোনে তাকে কল দিলেও পাওয়া যায়নি।বালি উত্তোলনে বার বার চেয়ারম্যানদের নাম আসার কারণে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেনের কাছে কুমিরা ও গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে বালি উত্তোলনের বিষয়ে অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,সীতাকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে বালি উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে বালি উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সেখানে লোক পাঠানোর কথা বলেন।