প্রতিবেদক: জালাল উদ্দিন:::: এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং, সকাল ১০টা থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় “শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকেই কোনো ভর্তুকি ব্যতীরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।” তাই প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারের কোষাগারে জমা নিয়ে জাতীয়করণ ঘোষনা এখন সময়ের
দাবি। “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিগণের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। বৈষম্য গুলো হলো- বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রে
শিক্ষক-কর্মচারিগণের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০% করে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলী ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা একজন শিক্ষক ২৫% উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে
হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি। এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দুরীকরণে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে আসছি। গত দুইবছর যাবৎ বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট াবাভন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছে। বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের কোন কোন মহল থেকে আশ্বাস পেলেও বাস্তবে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই। ২৬ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয়করণের দাবিতে এ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। তিনি শিক্ষক-কর্মচারিগণকে এ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের আহবান জানান ।