প্রতিবেদক শ্রী ঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়াঃ দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকা ও সাপ্তাহিক অপরাধ
এব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিনের ন্যায় দিকে তথা আমার বাসার সামনে এবং খাওয়া দাওয়া শেষে শুয়ে মোবাইল ফোন চালাচ্ছি এমন সময় পেয়ে জানালার কাছে আসতেই দেখতে পাই বাইরে বের হচ্ছে। দ্রুত বাইরে বের হয়ে দেখতে পাই আমার পরে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আমি আশঙ্কা করছি অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে এই শত্রুতা করা হয়েছে।প্রেসক্লাব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল সদস্যরা বলেন, আমরা এব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি
এবিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য এমন ঘটনা এবং এমন ঘটনা নেক্কারজনক, হৃদয়বিদারক। যা কখনোই আশা করিনা। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান, সহ সুশীল সমাজ তীব্র নিন্দা সহ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এব্যাপারে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত চলছে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেনে নামে দায়ের করা হয়রানি মূলক মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার সদর রোডে তালতলী সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, মামলার বাদী স্থানীয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মশিউর এর বিরুদ্ধে তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পাচারের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকসহ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তালতলী সাংবাদিক সমন্বয়ে পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ৪ টি সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিকসহ স্বেচ্ছাসেবী ও সুশীল সমাজ অংশ নেন। তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইউসুফ আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তালতলী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাওলানা জোবায়ের হোসেন, তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাইরাজ মাঝি, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এইচএম জলিল আহমেদ, তাললতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাতৎ হোসেন।
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল পাচারের করে সেই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মশিউর মামলা করে প্রমাণ করেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা আজ বাধার মুখে। আমরা মনে করেছি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোহা, তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম পাচারের সংবাদের প্রকাশের পর দুদক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসন ওই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু আজ উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে মশিউর। এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার পায়তারা, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মশিউর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পাচার করবে, আবার সাংবাদিকের নামে মামলাও করবে এটা মানা যায় না। ওই মশিউরের খুঁটির জোর কোথায় তা বের করতে হবে। সরকার উন্নয়ন করে আর মশিউরের মত চোরাচালানিদের পকেট ভরে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি স্থানীয় দৈনিক দীপাঞ্চল পত্রিকায় ‘মাদ্রাসার মাঠে ভাঙারি মালামাল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আমতলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেন ভাঙারি ব্যবসায়ী মশিউর। এর পরের দিন চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম সাক্ষী মিলনের ঘর থেকে ২৩০ কেজি তামার তার উদ্ধার করে পুলিশ।