খুলনা দিঘলিয়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যদা অক্ষুন্ন রাখায় আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ পরিবার অভিনন্দিত

ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ চীফ রিপোর্টারঃ খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার অজ পাড়াগায়ে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ ৯৮.২৮% পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়ে উপজেলার অন্যতম এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যদা অক্ষুন্ন রাখায় কলেজ পরিবারকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়েছে। এ অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এবং নানা পেশার লোকজন। এছাড়াও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সভাপতি, সাবেক এমপি জনাব আলহাজ্ব মোল্লা জালাল

উদ্দিন সহ পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সকল পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ,বাণিজ্য বিভাগ, এবং মানবিক বিভাগ মিলে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১৬ জন। যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১৪ জন, A+ পেয়েছে ২৪ জন। এই ২৪ জনের মধ্যে ছাত্র ১২ জন এবং ছাত্রী ১২ জন।এ উপলক্ষে গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজে পৌঁছালে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শামীম হোসেন তাঁকে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় অনন্য সফলতা অর্জনের বিস্তারিত

দেখান এবং বুঝিয়ে বলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃতি শিক্ষার্থীদের ফুল দ্বারা অভিনন্দিত করেন উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি সাবেক এমপি জনাব আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন। এরপর সফলতার ব্যাপারে কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “আমাদের এ সাফল্য অর্জণের জন্য কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ এবং দক্ষ ও বিচক্ষণ শিক্ষকমন্ডলী, নিবেদিত সহায়ক স্টাফ, আমাদের সচেতন অভিভাবক বৃন্দ এবং যোগ্য পরিচালনা পর্ষদের নিকট আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তারা আরো বলেন, আমাদের শিক্ষকরা যদি আমাদের সঠিকভাবে না পড়াতেন , পড়াশোনায় সহযোগিতা না করতেন, আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা না দিতেন, তাহলে আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না পরীক্ষায় এরকম ভালো ফলাফল অর্জন করা। স্যাররাই আমাদের জীবন গড়ার কারিগর, আমাদের শিক্ষকরাই

আমাদের পথ চলার পাথেয়। তাই আমরা স্যারদের এবং অন্যান্য সকলের কাছে দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতে আমরা আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে এরকম ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি এবং মানুষের মত মানুষ হতে পারি।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পার্শ্ববর্তী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজেরশিক্ষকবৃন্দ, কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ এবং উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, কলেজের বর্তমান সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন।সাবেক এমপি মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, “এই এলাকায় যখন কোন কলেজ ছিল না তখন আমি প্রথম এই কলেজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।

কলেজ স্থাপনের পর আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়েছে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজকের এই কলেজ উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমি এতে অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি হয়েছি। আনন্দ আপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, যখন এই কলেজ এমপিওভুক্ত ছিল না তখন আমি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা,দেশনেত্রী, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে আমার এই কলেজ এমপিওভুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানাই, যার প্রেক্ষিতে এই কলেজ এমপিও ভুক্ত করা হয়।” ভবিষ্যতেও তিনি এই কলেজের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং কলেজের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশার মানুষজন, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, উক্ত কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় অভাবনীয় সফলতা অর্জনের পিছনের সেই কারিশমেটিক অধ্যক্ষ শামীম হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top