ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ী শামিম রাতারাতি বড় লোক- আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ

রিপোর্টার,রানা পারভেজঃ বগুড়া শেরপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকার ভেজাল ডিওআরবি পশু খাদ্য ব্যবসায়ী শামিম ড্রাইভার রাতারাতি বড় লোক এ যেনো আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,ভেজাল ডিওআরবির ব্যবসায়ী শামিম ড্রাইভার ছিলেন একজন সাধারণ বেগুন বিক্রতা।হাটে বাজারে ঘরোয়া করে বসে বেগুন বিক্রি করেই কোনো রকম চলতো সংসার। বেগুন বিক্রি ছেড়ে দিয়ে যোগদান করে

গাড়ি ডিপার্টমেন্টে,প্রথমে শেরপুরের সিনিয়র ড্রাইভার আকবর আলী ড্রাইভারের সাথে হেলপার পোষ্টে যোগদান করেন ও কয়েক বছর গাড়ির হেলপারি করে তিনি ড্রাইভার পোষ্টে যোগদান করে ও পাশাপাশি বিএনপি রাজনীতিতে যোগদানের মধ্যে দিয়ে গাড়ির ড্রাইভাররি ছেড়ে দিয়ে, নিজ এলাকা খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকায় গড়ে তুলো একাধিক লাঠিয়াল বাহিনী গ্রুপ।পরবর্তীকালে ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ী শামিম নিজের অপকর্ম আড়ালে রাখতে শুরু করে থানার দালালি।নিজের কু কাণ্ড আড়াল রাখতে মিশতে শুরু করে হ্মমতাশীন রাজনৈতিক নেতা ও শেরপুরের কয়েকজন সাংবাদিকের

সঙ্গে। ২০০১ সালের ৬ মাস চলতি মৌসুমে শেরপুরের কয়েকজন সাংবাদিককে ম্যানেজ করে শুরু করে ভেজাল ডিওআরবির ব্যবসা।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামিদামি কম্পানিতে সরবরাহ হয় তার ভেজাল ডিওআরবি গৌ খাদ্য।শুরু হয় তার আয়ের উৎসতা,ডিওআরবির ভিতর বালি মাটি ও পোড়া মাটির মত দেখতে একধরনের পাতলা আবরণ মিশ্রণ করে ভোক্তাদের ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা,হয়ে ওঠেছে টাকার কারিগর। জানা যায়,তার ভেজাল ডিওআরবির কয়েকটি গুদাম থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি ট্রাক লোড আনলোড করা হয়।যা প্রতি গাড়ি থেকে আয় হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। গাড়ি প্রতি ২৫ হাজার টাকা ইনকামের উৎসতা হলো পুশু খাদ্য ডিওআরবির মাঝে ভেজাল মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে।
গত কয়েকদিন আগে প্রায় ৭২ লাহ্ম টাকা মুল্যের কয়েকটি বড় ট্রাক ৩৮ লাখ টাকা নগদ দিয়ে নিজের নামে ডিট করে নিয়েছে।গাড়ি গুলো তার ভেজাল

ডিওআরবি বহন করা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।সেই সাথে নিজের নাম লিখিয়াছেন শেরপুরের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায়। সরকারি অনুমতি বিহীন কোন রকম কাজগ পএ ছাড়াই তিনি রাতদিন সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে এই ভেজাল ডিওআরবির ব্যবসা।এতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দেশের গরু ও ছাগলের খামারিরা। এর আগে বগুড়া জেলা ভোক্তা অধিকার অভিযান চালিয়ে তার গুদামে ডিওআরবির মাঝে বালি ও পোড়া মাটির মত দেখতে আবরণ মিশ্রণের প্রমাণ পেয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা সহ গুদামটি সিল গালা করেছিলেন। দেশের আইনকে তোয়াক্কা না করে সবকিছু ম্যানেজ করে আবারো শুরু করেছে এই ভেজাল ডিওআরবির ব্যবসা।

খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের প্রাণ নাশের হুমকি ও লান্সিচিত করে ভিডিও ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।এরি প্রেহ্মিতে শেরপুর থানায় গত ৩০/১/২০২৩ তারিখে একটি মামালা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীরা।সেই মামলার প্রহ্মিতে ওই দিনেই অভিযান চালিয়ে ছিনতাই করে নেওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার সহ ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ী শামিমকে গ্রেপ্তার করে শেরপুর থানা পুলিশ,পাঠিয়ে দেওয়া হয় বগুড়ার জেল হার্জতে। আদালত থেকে খুব সহজেই

জামিনে মুক্তি পায় ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ী শামিম।জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো শুরু হয়েছে তার ভেজাল ডিওআরবির বানিজ্য,সেই সাথে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলার সাহ্মিদের।
একজন সাধারণ বেগুন বিক্রিতা থেকে ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ীর মধ্যে দিয়ে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হওয়ায় শেরপুরে বিভিন্ন মহলে চলছে
চলছে নানা গুঞ্জন। সুনিশ্চিত তদন্ত করে ভেজাল ডিওআরবি ব্যবসায়ী শামিম এর রাতারাতি কোটি পতি হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা সহ ডিওআরবির ভিতরে বালি ও পোড়া মাটির মত দেখতে আবরণ মিশ্রণ কারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও বগুড়ার পুলিশ সুপার ও জেলা ভোক্তা অধিকার সহ দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ করেন সচেতন মহলের লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top