নড়াইল কালভার্ট নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ

খন্দকার ছদরুজ্জামান,নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নে একটি ইউ কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। যার কারনে নির্মাণের ১ মাসের মধ্যে কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়েছে৷ ফলে যাতায়াতে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথ চারিদের। জানাযায়, গ্রামীন মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করনের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড ( এইচ বিবি) করন ( ২য় পর্যায়ে) ২০২১ – ২০২২ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দ কৃত ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫০ টাকায়, মধুর গাতী জলিল মোল্যার বাড়ি হতে আরজি পর্যন্ত ৫০০ মিটার এইচ বিবি করন রাস্তায়

হউ কালভার্ট নির্মানে এই অনিয়ম দূর্ণীতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ রয়েছে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কোন রকম ভাবে দায় সারা কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মেসার্স রাসেল এন্টার প্রাইজ। রাস্তার দু- পাশে মাটির ধরা হয়নি। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে একাধিক বার বললে ও কোন কর্নপাত করেনি। ইউ কালভার্টে বাঁশের ব্যবহার করায় জমননে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মধুর গাতী গ্রামের

আলমগীর বলেন, কালভার্ট নির্মানে যখন বাঁশ দিয়েছিল তখন আমরা নিষেধ করেছিলাম তখন ঠিকাদার আমাকে বলল বাঁশ দেওয়া সিডুলে রয়েছে। পথচারি গোলাম কিবরিয়া বলেন, নির্মাণের ১ মাসের মধ্যে কালভার্টের এই অবস্থা দুই মাস হয়েছে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এই দূর্নীতি পরায়ন ঠিকাদারের দৃষ্টিন্ত মূলোক শাস্তি দাবি করি। বিছালী ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান হিমায়েত হোসেন ফারুক বলেন, রাস্তায় ২ জেলার মানুষ চলাচল করেন। রাস্তা নির্মাণের শুরু থেকে অনিয়ম দূর্ণীতি

শুরু হয়েছে। নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তার ২ পাশে মাটি দেওয়া হয়নি। কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তনে বাঁশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি। আমি এই দূর্নীতি বাজ ঠিকাদারের শাস্তি দাবি করি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজের মালিক বলেন, ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে শুনে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেছি। কালভার্টের কাজ পুনরায় সঠিক ভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলেছি । দ্রুত নতুন করে কাজটি করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top