জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ডঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করে সাফল্য পেয়েছে শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ডালিম।সীতাকুণ্ড পৌরসভার শেখ নগর এলাকায় ৪০ শতক জায়গার উপর নিরিবিলি পরিবেশে কুল গাছের কলব করেন।শীতের মৌসুমে তিনি এই পর্যন্ত ২ বার কুল বাজারজাত করেন।এছাড়া হৃষ্টপুষ্ট কুল গাছের (কলব) নিরাপত্তা এবং পাখিদের দ্বারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই চারপাশে এবং উপরে নেট বেঁধে দিয়েছেন।কুল গাছের কলব করে ইতিমধ্যে ওই এলাকায় সাড়া ফেলেছেন একাধিক কৃষক।এতে বল সুন্দরী,মিস ইন্ডিয়া ও কাশ্মিরী জাতের কুল দাপটের সহিত বাজারজাত করছেন তারা।সীতাকুণ্ডের ওই এলাকায় (শেখনগরে) প্রায় ১৫ একর জায়গার ওপর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বড়ই গাছের চাষ করা হয়েছে।এতে প্রতি বছর সব কুল গাছের বাগান মিলিয়ে গড়ে ২৫/৩০ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের।
এই বিষয়ে শাখাওয়াত হোসেন বলেন,আমি আমার কাকার কাছ থেকে কুল গাছের কলব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।এতে ফলন অনেক ভালো হয় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।এছাড়া কুল গাছের ফলন এবং চাষ পদ্ধতি কিছু কিছু ইউটিউব থেকে দেখে শিখি। প্রথমদিকে তেমন না বুঝে করার কারণে আমার ব্যায় একটু বেশি লেগেছে।তবে সামনে খরচ আরো হ্রাস পাবে আয় বৃদ্ধি পাবে।সিজন শেষে আমি এই জমিনের পাশাপাশি সবজি চাষ করবো।তবে কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা পেলে আরো লাভবান হবে বলে জানান তিনি।
তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত’র সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবারক হোসেন বলেন,আসলে আমরা কৃষিতে এই ধরনের সাফল্য দেখলে মনপ্রাণ ভরে যায়।শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে শাখাওয়াত এর কর্মকান্ড আমাদের অনুপ্রাণিত করে।ভবিষ্যতে আমরা এই ধরনের কুল গাছের কলব করবো ।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ বলেন,সীতাকুণ্ডের কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কুল চাষ হচ্ছে।সীতাকুণ্ড পৌরসভার চৌধুরী পাড়া,শেখ নগর ও পাহাড়ের কিছু কিছু জায়গায় কুল চাষ করা হচ্ছে।আমাদের পক্ষ থেকে তাদের তথ্য উপাত্ত ও অন্যান্য বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।কুল চাষীদের কখন কি ঔষুধ দিতে হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করি।