এ. আর. খানঃ খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন দেয়াড়া গ্রামের আসামী সাজিদ আহম্মেদ হৃদয় (৩৫) এর সাথে ভিকটিমের পূর্ব পরিচয় ছিল। গত এক বছর পূর্বে আসামী তাহার বাড়ীতে ভিকটিকে নিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। আসামী কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি ধারণ করে। পরে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আসামী একাধিকবার ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। আসামী কর্তৃক ধর্ষণের ফলে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। ভিকটিম বিষয়টি আসামী সাজিদকে জানায় এবং বিবাহ
করতে বলে। আসামী বিবাহ করবেনা বলে তালবাহনা শুরু করে এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। আসামী ভিকটিমকে তাহার বাসায় ডেকে নিয়ে সু-কৌশলে ০৭ মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করায়। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদি হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে রুপসা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, স্পেশাল কোম্পনি খুলনার একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামী গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর আভিযানিক দলটি র্যাব-১, উওরা, ঢাকার একটি টিমের সহায়তায় ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখি আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময়
গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানাধীন টঙ্গি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সাজিদ আহম্মেদ হৃদয়(৩৫), থানা-রুপসা, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সে জড়িত মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে খুলনা জেলার রুপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।