সাইফুল আলম দুলাল কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর অবশেষে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ভিকটিম মাইশা আক্তার (৫) কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের দুল্লী গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মাহিয়া আক্তার (২৫) গত ১১ জানুয়ারি রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় রাতের খাবার খেয়ে তাদের মেয়ে মোছাঃ মাইশা আক্তার (৫) কে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।১২ জানুয়ারি ভোর অনুমান ৫ ঘটিকার সময় তার স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে দেখে তার পাশে
তাদের মেয়ে মাইশা নেই। অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার স্বামী জাহাঙ্গীরকে ফোন করে জানায়। সে সংবাদ পেয়ে দ্রুত বাড়ীতে আসে এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি থানায় এসে নিখোঁজ সাধারণ ডায়রী করেন।ডায়রী নং-৫৭০। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলী হোসেন পিপিএম জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও স্থানীয়ভাবে এলাকার লোকজনদের সাথে কথা বলে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারেন যে,ভিকটিম
মাইশা আক্তার (৫) কে তার পিতা-মাতা কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দি থানার বাহের চর গ্রামে ভিকটিমের খালা মোসাঃ মাসুদা বেগমের নিকট রেখে আসে। ভিকটিম মাইশা আক্তার (৫) এর পিতা মাতাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই ভিকটিম নিখোঁজের ঘটনা সাজিয়ে ছিল । কেন্দুয়া থানা পুলিশ ভিকটিমের মা মাহিয়া আক্তার সহ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানা পুলিশের সহযোগীতায় ভিকটিম মাইশা
আক্তার (৫) কে কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দি থানার বাহের চর গ্রামের ভিকটিমের খালা মোসাঃ মাসুদা বেগম এর বাড়ী হতে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ১৪ জানুয়ারি শনিবার রাতে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। সাধারণ ডায়রীর তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তানভীর জানান,তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ মাইশা আক্তারকে উদ্ধার করে পিতা মাতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।