বিদ্যালয়ের গাছ কাটায় বিভাগীয় মামলা দায়েরের ২০ দিনও মামলার ও শোকজ পত্র পায়নি-শিক্ষক

বাগেরহাট প্রতিনিধি::   বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার ঘটনায় সেই প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদারের বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা হওয়ার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশ এর কপি তার হাতে পৌছায়নি। সরকারী আদেশ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাবিভাগের দাবী উপজেলাশিক্ষা অফিসার এর মাধ্যমে এবং ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিডাকে বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার সোমবার বেলা ১১ টায় মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্বে যে বিভাগীয় মামলা হয়েছে তার কোন কপি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমি পাইনি। আমি সাংবাদিকদের মুখথেকে শুনেছি যে আমার বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। কোন রেজিষ্ট্রিডাকে আমার নামে এমন কোন পত্র পাই নি। মোড়েলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মনিরুজ্জামান সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় মুঠোফোনে জানান, ১৯ ডিসেম্বর আমি অতিরিক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব গ্রহন করেছি। এবিষয়ে কিছুই জানিনা। এক প্রশ্নেন্রে
জবাবে তিনি বলেন আমি পুটিখালী ক্লাষ্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সত্য এমন পত্র আমি পাইনি। উল্লেখ্য ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুটিখালী ক্লাষ্টারের আওতায় এই ক্লাষ্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান। ১২ ডিসেম্বর২০২২ বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন স্বক্ষরিত পত্রের অনুলিপির ৪ নং এ সহকারী উপজেলা অফিসার সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাটকে পত্র দেওয়া হয়েছে। এর পর ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। স্থানিয়দের ধারনা প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে ভাপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার এর এধরনের আচরন। এবিষয়ে বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন সোমবার বেলা ১২ টায় মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ
কাটার ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার এর বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা দায়ের ও তাকে শেকজ করা হয়েছে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার কথা ছিল। তবে আজ পর্যন্ত জবাব দেয়নি। তিনি আরো জানান, গাছ কেটে যে অপরাধ করেছে আর জবাব না দেওয়া তো আরোবড় অপরাধ। তিনি বলেন আমি টিও সাহেবকে পত্র পৌছানোর জন্য বলেছি। এছাড়া আমার অফিস থেকে মামলা ও শোকজ পত্র রেজিষ্ট্রি ডাকে দিয়েছি । যার রশিদ আছে আমার কাছে। ডাক বিভাগ প্রাপক কে না পেলে চিঠি ফেরত দিবে , আজ পর্যন্ত চিঠি ফেরত আসেনি প্রধান শিক্ষক অবশ্যই চিঠি পেয়েছে। তিনি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখবে বলে জানান। উল্লেখ্য মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্ইে গাছখেকো প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার ১১৬ দিন পর তার বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন । পত্রের সূত্রে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানস্থলের চারটি বৃক্ষ গাছ ও ৩/৪ টি নারকেল গাছ
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এসএমসির রেজুলেশনের মাধ্যমে কর্তন করেছেন। এরূপ কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল ) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ ও দৃর্নীতির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিধায় এ বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলো। একই সাথে প্রধান শিক্ষককে শোকজ পত্র দেওয়া হয়। শোকজে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষাকর্মকর্তা ও শিক্ষকরা জানান, যেখানে উপ পরিচালক মহোদয় বিভাগীয় মামলা ও শোকজ করেছে সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনে হচ্ছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কে বাচাঁতে মরিয়া হয়ে লেগেছে। তাদের ধারনা ডিডি বড় না উপজেলা শিক্ষাঅফিসার । তারা বলেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া সরকারী সম্পত্তি এভাবে কেউ কাটতে ও বিক্রী করতে পারে না। যারা সরকারী সম্পত্তি আত্মসাত ও বিক্রীর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top