মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট::: গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জে মাছ ধরতে যান কিছু জেলে। শিলা নদীতে হরিণটানা এলাকায় মাছ ধরতে গেলে ১১ জেলেকে কিছু জলদস্যু তাদেরকে আটকে রাখে। এবং মুক্তি পান হিসেবে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকার জন্য অপহরণকারী জেলেরা তাদের পরিবারের কাছে সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি র্যাব-৬ এর নজরে আসে। গভীর রাতেই র্যাব-৬ এবং কোস্ট গার্ড যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযানের বিষয়টি জলদস্যুরা বুঝতে পেরে ১১ জেলাকে রেখেই তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। পরে জেলেরা মুক্ত হয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। আপন অপহরণ
কৃতদের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা কাসিমপুর গ্রামের সোহেল মল্লিক (২৮), মোংলা উপজেলার বাজিকর খন্ডের আসাদুল শেখ (৩৫) ও রামপাল উপজেলার বেতকাঠা গ্রামের হানিফ হাওলাদার (৪৫), শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের সালাম হাওলাদার (৬৫), ইমাম খান (২৫), সোলেমান হাওলাদার (৩০) ও ইউসুফ হাওলাদার (৩৫) হানিফ হাওলাদার (৪৮), সোহেল মল্লিক (২৮) এবং আসাদুল শেখ (৩২)। এই তিনজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। এ বিষয়ে অপহরণকৃত মুক্ত হওয়া জেলে আসাদুল শেখ বলেন,গত ১৫ই ডিসেম্বর রাত তিনটার দিকে জলদস্যুরা আমাদেরকে অপহরণ করে। অপহরণ করার পর
আমাদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। এবং আমাদেরকে অনেক মারধর করে। পরে একুশে ডিসেম্বর গভীর রাতে র্যাব ও কোস্টগার্ড অভিযানের কথা জলদস্যুরা যেকোনোভাবে জানতে পারে , তারা তড়িঘড়ি করে আমাদের রেখেই পালিয়ে যায়। পরে ফরেস্টের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরি আমরা। অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ,গতকাল গভীর রাতে র্যাব-৬ ও কোস্ট গার্ড অভিযান পরিচালনা করি। তবে অভিযানের বিষয়টি জলদস্যুরা যে কোন মাধ্যমে জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে অপহরণকৃত জেলেদের রেখেই পালিয়ে যায়। বর্তমানে সকলেই তাদের পরিবারের হেফাজতে নিরাপদেই আছেন।