রংপুরে জাল দলিলের ঘটনায় সাব-রেজিষ্টার সহ ৬ জনের নামে মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাব-রেজিষ্টারের যোগসাজসে জাল দলিল করে জমি আত্মসাৎ করে দখলে নেয়ার চেষ্টায় লিপি খান ও তার স্বামী সাইফুল উদ্দিন অরফ শিমুল ভরসা এবং সাব-রেজিষ্টার রামজীবন কুন্ডসহ ৬ জনকে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মৃত আলহাজ্ব করিম উদ্দিন ভরসার অপর পুত্র শফিকুল ইসলাম ভরসা।মামলা সুত্রে জানা যায়, রংপুরের প্রতিষ্ঠিত

ব্যবসায়ী এবং জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য প্রয়াত করিম উদ্দিন ভরসা ২০০৭ সাল থেকে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সেই সুযোগে লিপি খান এবং সাইফুল উদ্দিন ভরসা সম্পত্তি ভোগ দখলের লোভে বিভিন্ন প্রকার ষড়ষন্ত্রে লিপ্ত হন। এমতাবস্থায় করিম উদ্দিন ভরসার শারিরীক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে জনৈক আফলাতুন নিজেকে করিম উদ্দিনের স্ত্রী দাবী করে পাসপোর্টে স্বামী হিসেবে

উল্লেখ করে আবেদন করেন। সেই সময়ে ১১-১০-১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা তদন্ত সাপেক্ষে জানায় যে, করিম উদ্দিন ভরসা ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। ফলে তারদ্বারা কোনরুপ দলিল সম্পাদন বৈধ হবে না। পরবর্তিতে সাইফুল উদ্দিন ভরসা সুকৌশলে নিজ জিম্মায় করিম উদ্দিন ভরসাকে নেয় এবং যাবতীয় সম্পত্তি আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকেন।

এদিকে করিম উদ্দিন ভরসা ৯২ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারনে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং সম্পুর্ণরুপে মানসিক শক্তি লোপ পায় তার। এ অবস্থায় কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ২৩-০৬-২২ তারিখে ঢাকার এভার কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন চিকিৎসা চললে পুরোপুরি সুস্থ্য না হতেই ০৮-০৭-২২ তারিখে সাইফুল উদ্দিন ভরসা জোরপূর্বক ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় নিয়ে যান এবং লুকিয়ে রাখেন। আবারো গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে পূণরায় এভার কেয়ার হসপিটালে ১৪-০৭-২২ তারিখে ভর্তি করা হয় এবং ২৩-০৭-২২ তারিখে কোভিডে আক্রান্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সাইফুল উদ্দিন ভরসা

মৃত্যুপথযাত্রী করিম উদ্দিন ভরসার নাম ব্যবহার করে রংপুর সদর সাবরেজিষ্টারের সাথে যোগসাজে অছিয়ত দলিল সম্পাদন করেন। অথচ সেই সময়ে করিম উদ্দিন ভরসা সঙ্গাহীন ছিলেন। দলিল অছিয়ত করার মতো কোন অবস্থাই ছিলো না তার। শুধু তাই না, করিম উদ্দিন ভরসা অসুস্থ্য থাকাকালীন সময়ে তার অন্য ছেলে মেয়ে এবং নাতি নাতনিসহ আত্মীয় স্বজনকে দেখার করার সুযোগ দেয় নাই।

এ ঘটনায় রংপুর চিপ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা করেন শফিকুল ইসলাম ভরসা। মামলায় লিপি খান ভরসাকে ১ নং আসামী, সাইফুল উদ্দিন ভরসাকে ২ন ং আসামী, সাবরেজিষ্টার রামজীবন কুন্ডকে ৩ নং আসামী, দলিল লেখক মনিরুল ইসলাম কে ৪ নং আসামী এবং মুনসি পাড়ার পলাশ কে ৫ নং আসামী করা হয়।

জালিয়াতি করে নেয়া সকল সম্পত্তি তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলে রেখেছেন। ভুক্তভোগী ভরসা পরিবারের বাকি সকল সদস্যরা জানান লিপিক খানের অত্যাচারে তারা পেরে উঠছেন না। এছাড়া তারা সাব রেজিস্টার রামজীবন কুন্ডুর দুর্নীতির বিচার দাবি করেন
এ ব্যাপারে সাব রেজিস্টার রামজীবন কুন্ডকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন কথা বলতে অস্বীকার করেন।

লিপি খান কে ফোন করা হলে তিনি হুমকি দেয়ার, ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায় এই লিপি খান প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে স্থানীয়দের সহ সকলকে টাকা অথবা অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছেন।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top