ময়লার স্তৃপ থেকে ফুটফুটে এক নবজাতক উদ্ধার

মীর ইমরান মাদারীপুর নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদারীপুর পৌরসভা এলাকার ময়লার স্তূপ থেকে এক ফুটফুটে নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার। শিশুটি বর্তমানে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। রোববার (১৮ডিসেম্বর) সকালে পথচারী ও স্থানীয়রা মিলে পৌরসভা এলাকার চায়ের দোকানের পাশে একটি ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এছাড়াও নবজাত শিশুটিকে লালন পালন করতে হাসপাতালে একাধিক লোক ইচ্ছাপোসন করে ভিড় জমাচ্ছেন। নবজাতককে উদ্ধার করা সাথী আক্তার  জানান,আমি আমার বাসা থেকে পৌরসভার এলাকায় বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে পৌর এলাকার একটি  চায়ের দোকানের পাশে সেখানে ডাস্টবিনে শিশুটি ময়লা কাপড় দিয়ে মোরানো দেখতে পাই।তখন আমিসহ

কয়েকজন লোকজনে মিলে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে পাঠায়।বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় আছে।অনর্থ এক উদ্ধারকারী, সিন্থিয়া আক্তার বলেন, সাথী আপু বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে আমাদেরকে ডাক দেয়। তখন আমারা এসে বাচ্চাটি চায়ের দোকানের পাশে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে ময়লা কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় দেখে উদ্ধার করি।তখন

সাথী আপু ময়লার স্থান থেকে শিশুটি তুলে আমার কাছে দিয়ে। সাথী আপুর বাসায় থেকে বাচ্চার জন্য কাপড়-চোপড় নিয়ে আসেন। পরে আমরা হাসপাতালে নিয়ে শিশুটিকে ভর্তি করি। বাচ্চা লালন পালন করার জন্য  নিতে আশা কুলসুম বলেন, বাচ্চা নাই আমি বাচ্চাটিকে নিয়ে লালন পালন করতে চাই। এখন যদি হাসপাতাল কর্তৃকপক্ষ এবং প্রশাসন আমাকে বাচ্চাটা দেয় তাহলে আমি লালন পালন করতে পারবো।মাদারীপুর  সদর

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার শিশু চিকিৎসক ডাঃ নাইমা ফেরদৌস শান্তা  জানান, সকালের দিকে কিছু লোক নবজাতকটিকে শরিরের ময়লা গোবর কাদা-মাটি জরানো  একটি কাপড় দিয়ে পেচিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যার জন্য শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করি। শিশুটির চিকিৎসা চলছে, প্রথম যখন নিয়ে এসেছিলো  তখন তার হাত-পা ঠান্ডা ছিল।

বর্তমানে সে সুস্থ আছে। তবে আনুমানিক নবজাতকের বয়স একদিন হবে।এব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ময়লা স্তৃপ একটি নবজাতক শিশুকে কে বা কাহারা রেখে চলে গেছেন  সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top