বিজয় দিবস

বিজয় দিবস

লেখকঃসিরাজুল ইসলাম

রিপোর্টারঃ মিরাজুল শেখ::: বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ভাষা দিবস প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে, মনে করায় অনেক ইতিহাস, কিছু চেহারা ভেসে ওঠে মানস পটে! সে-ই সব মানুষের অবয়ব চোখের সামনে ভেসে ওঠে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ নামক ‘ব’ দ্বীপ টা স্বাধীন হয়েছিলো, মনে পড়ে সেই Highly talent warrior এর কথা যার সাহস, বুদ্ধি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, এক যুগের উপরে জেল জীবন কাটায়ে বাংগালীর অবিশ্বরনীয় নেতা হয়েছিলেন, জনগনের সংখ্যা গরিষ্ঠ ম্যান্ডেট নিয়ে একটা দেশকে স্বাধীন করার অধিকার অর্জন করে ও বিছিন্নতাবাদী উপধি ঘাড়ে নেন নাই, ৭ ই মার্চ রমনা রেসকোর্সে এত লোক পেয়ে ও সেনানিবাস মুখী মার্চ না করে সূক্ষ্ম চাতুর্যপূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন কিন্ত রেসকোর্সে পাঞ্জাবের অমৃতসর জানি ওয়ালা বাগের মত পাকিস্তানি জল্লাদ সৈন্যদের হাতে হত্যাকান্ড ঘটতে দেন নাই,

বন্দুক সবসময় পাকিস্তানি শাসকের ঘাড়ে রেখে শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানিদের ই প্রথম আক্রমণ করতে হয়েছে এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন! লেলিন মাও সে তুং এর মত আন্ডারগ্রাউন্ড এ যান নাই বরং জনগন কে রাজনৈতিক মন্ত্রে এমন ই উদ্বুদ্ধ করেছেন যে নেতার নামেই যুদ্ধ হয়েছে, বুলেটের সামনে ‘তার নামে’ জনগন বুক পেতে received built. ভেসে ওঠে অনেক মুখ যারা আহম্মক বা মস্তিষ্ক শূন্য লোক, যারা বলে উনি পালালেন না কেন, উনি ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন না কেন? শাহজাহান সিরাজ বা রব বলেছিলেন, আজ ই স্বাধীনতা ঘোষণা করতে হবে (মঞ্চে ওঠার কিছু আগে) জনগনের প্রেসার আছে! বঙ্গবন্ধু রেগে বলেছিলেন, “Peoples are not my leader, I am the leader of the peoples! বৃটিশ সাংবাদিক স্লুজ সম্ভাবতঃ (নামটা দ্বিধা আছে) বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” আপনি ভারত

পালিয়ে গেলেন না কেন?” বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন, ” নেতা কখনও তার জনগন রেখে পালাতে পারে না, প্রয়োজনে আমার জনগণের জন্য জীবন দিয়ে দিবো, পালাবো কেন? আমাকে হত্যা করতেও পারতো ওরা, তাতে আন্দোলন আরও বেগবান হতো, দেশ স্বাধীন হতো, ভারত কেন আমি যেকোন দেশে চলে যেতে পারতাম ! The Leader can’t Escape from! মাথা মোটা পাকিস্তান ৩ রা ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলো। দি আয়রন লেডি ইন্দিরা গান্ধী ও মুজিবের মত বন্দুক টা পাকিস্তানের ঘাড়ে রাখতে চাচ্ছিলেন, পাকিস্তান ফাঁদে পা দিলো। এক সাথে ভারতের ১১ টা বিমান বন্দরে বোম্বিং করলো, বিশ্ব দেখলো আহাম্মকের কান্ড! নিয়াজি যখন মার্কিন রাস্ট্র দূতকে (নামটা ভুলে গেছি) যেয়ে কেঁদেকেটে অনুরোধ করতেছিলো সমঝোতা করে সিজ ফায়ার, সে সারেন্ডার করতে প্রস্তুত এ বার্তা ভারত কে দিতে! নিয়াজি এ ও বলেছিলেন ,

পাকিস্তান বসে ইয়াহিয়া ভুট্টা এখানকার পরিস্থিতি বুঝতে পারছে না, আমি ৯৩ হাজার সেনা নিয়ে ফেরত যেতে চাই। মার্কিন রাস্ট্র দূত ধমকিয়ে বলেছিলেন, ” Who the foolish advised to attack India? ” ইতিমধ্যে ১৩ তারিখের দিকে বৃটিশ রণতরী ঈগল আরব সাগরে ঢুকে মাদাগাস্কার পৌছেছে, ভিয়েতনামে অবস্হান রত মার্কিন রণতরী 7 fleet ৭৫ হাজার টন নিউক্লিয়াস পাওয়ার কেরিয়ার যা বিশ্বের সব চেয়ে বড় capacity, বঙ্গোপসাগরে ঢোকার পথে, ভারতের ২০ হাজার টন কেরিয়ার নিয়ে বাঁধা দেয়ার পথে এবং গান্ধী জি S O S করলেন রাশিয়া ব্রেজনেভ কে! ততক্ষণে স্হলপথে ভারতীয় সৈন্যরা পশ্চিম পাকিস্তানের ১৩, ০০০ স্কয়ার কিলোমিটার ঢুকে গেছে! পূর্ব পাকিস্তান গভর্নর টেকো মালেক সেনা অফিসার ও মন্ত্রীপরিষদ নিয়ে গভর্নর ভবনে মিটিং করতে ছিলো, ভারতীয় ফাইটার জেট উড়ে যাওয়ার সময় শর্ট রাডারে ধরা

পড়ে, সাথে সাথে গভর্নর হাউজের উপর বোমা ফেলে, কেউ কেউ মারা যায় তবে মালেক সাহেব ট্রেন্সে ঢুকে বেঁচে যান। মস্কো প্রস্তুত ছিলো এবং শার্ট পথে ৯ বম নৌবহর পৌঁছে যায়, তার আগে নবম নৌবহরের প্রায় শত শীপ দিয়ে ভারত মহাসাগর ঘিরে ফেলে যদি চীন আক্রমণ করে? সাথে ছিলো নিউক্লিয়াস অটো সাবমেরিন! ততক্ষণে ভারত পশ্চিম পাকিস্তানের ৩১০০০ স্কয়ার কিলোমিটার দখল করে ফেলেছে! সব শেষ মজার এবং হাসির কথাটা বলে শেষ করবো! বৃটিশ নেভাল ফ্লিট মাদাগাস্কার ছেড়ে অবস্থা সব দেখতে পায় ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে পথে কি জাল বিছানো! বৃটিশ এ্যাডমিরাল ‘ডায়মন গোরডা’ মার্কিন সেভেন ফ্লিট কমান্ডার কে মেসেজ দেন অয়ারলে ঠিক এভাবে,” Sir, We are too late, there are the Russian Auto Sub Marine here and big collection of BATTLE SHIP’S, there is no sign of China

Naval Fleet, better don’t enter in to Bay of Bengal, I am on the way back towards Madagascar! মার্কিন সেভেন ফ্লিট এ মেসেজ পেয়ে সাথে সাথে উল্টো ঘুরিয়ে ভিয়েতনামের পথে রওয়ানা হয় ! হা হা হা, ফিরে যায় মার্কিন সেভেন ফ্লিট এবং বৃটিশ ঈগল —– বেঈমান মিথ্যাবাদী সবসময়ই মিথ্যাবাদী থাকে, ১৬ ই ডিসেম্বর ভারতীয় ইস্ট জোন ফিল্ড কমান্ডার মেজর জেনারেল জ্যাকবের কাছে মৌখিক সারেন্ডার করে ফেলছেন নিয়াজি, মেজর জেনারেল নাগরা ও সাভার থেকে আসা কাদের সিদ্দিকী ট্রুপস তখন মিরপুর ব্রিজের উপরে তখনও রেডিও টেলিভিশন পূর্বপাকিস্তান, বলে যাচ্ছে, ভারতীয় বাহিনী সাথে পাকিস্তান সেনারা শক্ত ভাবে মানিকগঞ্জ ও মদনপুর

প্রতিহত লড়াই চলছে। নিরিহ লোক তখনও জবাই চলছে, বুদ্ধিজীবি তখনও ধরে নিচ্ছে কথাগুলো একটা পত্রিকায় লিখেছেন ডেইলি স্টার রিপোর্টার যিনি মানিকগঞ্জ থেকে গাড়ী চালায়ে আসছিলেন রমনা রেসকোর্সে সারেন্ডার দেখতে কিন্তু তিনি পথে রক্ত ঝরা লাশ দেখে ভয় পান ! লেফ, জেনারেল অরোরা তেজগাঁও বিমান বন্দরে স্ব সস্ত্রীক আসেন এবং সোজা সাড়ে চারটায় সারেন্ডার পত্র সই হয়! জ্যাকব, কাদের, মুক্তিযুদ্ধের সেকেন্ড ইন কমান্ড উপস্থিত ছিলেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top