খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন বাইপাসে স্বামীর সাথে ঘুরতে গিয়ে সংঘবন্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে এক গৃহবধু। গত ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ পরিচয়ে স্বামীকে চোখ বেধে আটকে রেখে স্ত্রীকে আড়ংঘাটা থানা এলাকার অভিযুক্ত বেল্লাল মোড়লের একতলা ভবনের ছাদে নিয়ে জোরপূর্বক ঐ গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ধষণকারীরা ঘটনার চিত্র ভিডিও ধারণ করে বিষয়টি জানাজানি করলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধুকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিমের স্বামী ও পুলিশ ধর্ষণের স্বিকার গৃহবধুকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টরে(ওসিসি) ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ব্যাব-৬ ও আড়ংঘাটা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মুলহোতা আড়ংঘাটা মোড়লপাড়ার মো. খোরশেদ
মোড়লের পুত্র বেল্লাল মোড়ল(৪৬), দেয়ানা মধ্যপাড়ার মৃত ফরুক আলম চৌধরীর পুত্র . আজিজুর রহমান ওরফে মিঠু চৌধরী(৪০), দিঘলিয়া ব্রক্ষগাতী গ্রামের রেজা মুন্সির পুত্র জিহাদ মুন্সি(২৪) ও আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়ার আব্দুস সাত্তার শেখের পুত্র রাসেল শেখ(২২)কে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করেছে(মামলা নং-৪ তাং-১৫/১২/২২)। বৃহস্পতিবার ব্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(ব্যাব)-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোসতাক আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, সংঘবন্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের আটকে বুধবার রাতভর আড়ংঘাটা থানা এলাকাসহ বিভিণœ স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বেলাল মোড়ল, আজিজুর রহমান, জিহাদ মুন্সি এবং রাসেল শেখসহ চারজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার লোমহর্ষক ও
অপ্রিতিকর যে ঘটনা ঘটেছে তা অভিযুক্তরা স্বিকার করেছে। যে মোবাইলটি দিয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিল সে মোবইলটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং আলামত হিসাবে সেটি জব্দ করা হয়। মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় ভিকটিম তার স্বামী জীবন শেখকে নিয়ে ঘোরার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা দৌলতপুর থেকে একটি ইজিবাইকযোগে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ে এসে নামে। বাইপাস মোড়ে কিছু সময় ঘোরাফেরার পর পায়েহেটে তারা আড়ংঘাটা বাজারের দিকে আসার পথে মোড়ল পাড়াস্থা নূরানী জামে মসজিদের নিকট আসলে উল্লেখিত আসামীরা নিজেরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। ভিকটিমের স্বামীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে অভিযুক্ত বেল্লাল মোড়লের বাড়ীর একতলা বাড়ীর ছাদে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে
ধর্ষণ করে। এ সময় ৪নং আসামী রাসেল শেখ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিমের স্বামী জীবন শেখ জানায়, পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে তল্লাশীর নাম করে একটি স্থানে নিয়ে যায়। পরে আমাকে চোখ বেধে একটি স্থানে আটকে রাখে । আমার স্ত্রী দুই ঘন্টা পর অজ্ঞাত স্থান থেকে আমাকে ফোন দিয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় আমাকে ঘটনার বিবরন দেয়। তিনি জানায় ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। গ্রেফতারকৃতদেরকে বৃহস্পাতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।