বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গণহত্যা: পরিণাম, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী

খান আতিকুর রহমান বাবুঃ  ‘বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গণহত্যা: পরিণাম, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী আজ (শনিবার) সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা আমাদের অক্ষুন্ন রাখতে হবে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টি জেলায় গণহত্যা জাদুঘর স্থাপনের জন্য জরিপ করা হয়েছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ আরো

কয়েকটি জেলায় গণহত্যা বিষয়ক স্মৃতি ফলক স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণহত্যা, বধ্যভূমি ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং এসংক্রান্ত সংগ্রহশালা তৈরি আমাদের জাতীয় কর্তব্য। এর মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবাই জানতে পারবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন নারকীয় গণহত্যার স্মৃতি যেন মুছে না যায়, সে জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ইতিহাস অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। স্বাধীনতা হলো আমাদের জাতীয় জীবনের এক মহান প্রাপ্তি, যা আগামী

প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. স্মৃতি এস পাটনায়েক, ড. শুভরঞ্জন দাশগুপ্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং ইতিহাস সম্মিলনী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top