প্রতারক প্রবাসী রাহাত আহমেদ সজীবের পরিবারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে

 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, বাইনহাটি গ্রামের কাতার প্রবাসী রাহাত আহমেদ সজীব,পিতাঃ মোঃ জাহিদ আহমেদ। একটি অনুসন্ধানী টিম সজীবের মির্জাপুর বাইমহাটি গ্রামের বাসভবনে গেলে, সজিবের স্ত্রী নিপাকে দেখতে পায়, উনাকে সজীবের কথা জিজ্ঞেস করলে উনি জানান সজিব বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন, সজীবের বাবার কথা জানতে চাইলে তিনি বেলন, উনি ঢাকাতে অবস্থান করেন বলে জানান, বাড়িতে মুরুব্বী কে আছেন জানতে চাইলে সজীবের মা (আসমা

আহমেদ) আছেন বলে জানান সজীবের স্ত্রী নিপা। অনুসন্ধানী টিম প্রবাসী রাহাত আহমেদ সজীবের মায়ের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলে, সজীবের স্ত্রী নিপা বাড়ির ভিতরে আমন্ত্রণ জানান, সজিবের মা (আসমা আহমেদ) কে সজীবের কথা জিজ্ঞেস করলে উনি জানান, সজীব আমাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করে না। উনাকে ভুক্তভোগী তানজিন ইসলাম বৃষ্টিকে চিনেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি চিনেন না, যখন অনুসন্ধানী টিম সজীবের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ এবং

আইডি থেকে ভুক্তভোগী তানজিন ইসলাম বৃষ্টিকে নিয়ে নোংরা ও পর্নোগ্রাফি পোস্ট এবং ভুক্তভোগী তানজিন ইসলাম বৃষ্টি কে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম গালিগালাজ হুমকি হয়রানিমূলক ডকুমেন্টস দেখানো হলে তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে তানজিন ইসলাম বৃষ্টিকে চিনেন বলে স্বীকার করেন। অতঃপর তিনি কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমার ছেলে আমার আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে সে কারো কথা শুনেনা। এখানে বৃষ্টির কোন দোষ নেই বৃষ্টি মেয়েটা অনেক ভালো। এ ব্যাপারে সজীবের স্ত্রী নিপাকে,

সজীবের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন মানুষ অজান্তে অনেক কিছুই করে কিন্তু যেখানে বৃষ্টি নিজেই আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছে, সেখানে এখন আর ওর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না, সজীব এমন যদি করতেই থাকে তাহলে আমি নিজেই ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সজিবের বোন মৌসুমীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ভাইটা এমন ছিল না, ভাইয়া যে কেন এমন করে বুঝিনা,আমাদের মান সম্মান ইজ্জত ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, আমার ভাইয়ের মেয়েটা অনেক বড় হয়েছে কয়দিন

পর ওর বিবাহ দিতে হবে এবং আমরা এখন এলাকাতে মুখ দেখাতে পারি না। কথা বলার মাঝে সজীবের এক মামা (রাজু) উপস্থিত হয় তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি সজিব কে এ ব্যাপার গুলো করতে নিষেধ করেছি কিন্তু সজীব আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে ও বৃষ্টিকে জড়িয়ে খুব নোংরা কথা বলে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানী টিম প্রবাসী রাহাত আহমেদ সজীবের প্রতিবেশীদের কাছে জানতে চাইলে প্রতিবেশীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজি হয়,

তারা জানান ওদের ফ্যামিলি খুবই খারাপ এবং বাজে, ওদের ভয়ে কেউ কিছু বলেনা, সজীবের ছোট দুই ভাই সম্রাট ও তাকদির এলাকার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে এলাকাবাসীর কথার সত্যতার মিল পাওয়া যায়। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান কিছুদিন আগে সজীবের মেঝো ভাই সম্রাটকে, ছিনতাই করা অবস্থায় আমরা গ্রেপ্তার করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী তানজীল ইসলাম

বৃষ্টির অভিযোগ; প্রবাসী সজীবের বাবা জাহিদ আহমেদ ও মামা মিন্টুর উস্কানিতে প্রতিনিয়ত আমাকে ব্ল্যাকমেইল ও উদ্দেশ্যমূলক প্রক্রিয়ায় আমার নামে ফেসবুক আইডি খোলে মিথ্যা অপপ্রচার নোংরা ছবি ও পর্নোগ্রাফি ছবিসহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে, হুমকি ও নানা রকম অপ্রীতিকর, অশ্লীল পোস্ট করে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে। এবং ফেসবুকে আমার পরিচিত যারা আছে তাদের কাছে এ ধরনের পোস্টগুলো পাঠিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে, সজীবের এই

নোংরামি থেকে আমার দুধের বাচ্চাটাও রেহাই পাচ্ছে না। ওকে নিয়েও নানারকম পোস্ট করা হচ্ছে বলে তিনি জানান, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলতে চাই আপনারা আমাকে সাহায্য করেন এবং আমাকে বাঁচার সুযোগ করে দিন। সজীবের বাবা মোঃ জাহিদ আহমেদ, মামা মিন্টু আলাউদ্দিন অনুসন্ধানী টিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বলেন, প্রতারক প্রবাসী সজীবের বিষয়টা কিভাবে দামাচাপা দেওয়া যায় সেই বিষয়েটা ব্যক্ত করেন। ( চলবে)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top