কল্যানপুরে মারামারি ঘটনায় মিথ্যা মামলার শিকার কাউন্সিল রঞ্জু সহ১১ জন

এসএম রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার কল্যানপুরে জালসার ভিতরে কিশোরগ্যাং যুবকদের মারামারির ঘটনা ঘটে। গত ১৭নভেম্বর রাতে জলসাস্থলে কিশোরগ্যাং দু’গ্রুপে মারামারি হয়। এতে জালসা কমিটি বাঁধা দিলে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করা হয় জানায় জালসা কমিটি।

জানা যায় সফিকুল ইসলামের ছেলে ইনসান (২৪) ও তার ছোট ভাই রুবেল (২২) অসিমের দুই ছেলে রনি (২৪) জনি (২২) তাদের একাধিক বন্ধুবান্ধব নিয়ে জালসার ভেতরে প্রবেশ করার পরপর তাদের দলবল টোকাই বলাকে কেন্দ্র করে এর আগেও পূর্বশত্রুতার জেরে,নেশাগ্রস্থ হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়।

স্থানীয় এলাকার লোকজন কাউন্সিলর ইফতিখার আহমেদ রঞ্জুকে বিষয়টি অবগত করলে,তিনি মিমাংসার জন্য ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মাসিদুল হক নিখিলকে নিয়ে কল্যানপুর কাউন্সিলর অফিসে মিমাংসার জন্যে বসে এতে।

২২নভেম্বর এ মিমাংশার জন্যে উভয়পক্ষ বসে জানা যায় সরেজমিনে গীয়ে। কথা বার্তার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এক পক্ষ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আশিস ও তার দলবলসহ অতর্কিত হামলা চালায় কাউন্সিল রঞ্জুর অফিসে এতে ভীষণভাবে আহত হন স্থানীয় কয়েকজন।

একই সময় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে চেয়ার ভাংচুর ও ধরালো অস্ত্র বের করে হুমকি দেয় কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশে দিতে চাইলে কৌশলে তাকে ছেরে দেয় প্রতিপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর থানা পুলিশ,সে সময় একটি ধারালো অস্ত্র(চাকু) জব্দ করে থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা যায় পরিদর্শনে আসেন এস আই সুরুজ তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেশি ধারালো ছুরি জব্দ করে আলামত হিসেবে নিয়ে আসেন। সে সময় কাউকে আটক করা হয়নি তারা পালিয়ে যায় বলে তিনি এ কথা বলেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে
১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতিখার আহমেদ রঞ্জু বলেন জালসায় গন্ডগোলের ঘটনার সালিশের জন্য ২২নভেম্বর মঙ্গলবার আমার অফিসে বসে ছিলাম উভয়পক্ষের সম্মতিতে। সেখানে প্রতিপক্ষ সালিশ না মেনে মারামারিতে লিপ্ত হয়। উপায়ন্ত না পেয়ে পরে পুলিশকে নিষয়টি অবগত করি।

কাউন্সিলর রঞ্জু আরও বলেন
বুধবার আমি পৌরসভায় অফিস করতে যাই। বাইরে থাকা আমার ওয়ার্ডের লোকজনকে পৌরসভার সামনে ধাওয়া করে এ্যালোপাথারি মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে গুরুতর আহত হন মামুন (৩৫) সহ কয়েকজন। রঞ্জু জানান সে সময় আমাকেও প্রায় ঘন্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।

রঞ্জু জানান রনি ও জনির পিতা অসীম নামের এক লোক ঘটনা কেন্দ্রীক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এক দিন আগে ওই লোককে আহত করার ঘটনায় আমার লোকজন কোনভাবেই জড়িত নয় এটা ছোট ছোটদের ঝামেলা বড় করতে আমি রঞ্জু ও নিখিল একমত ছিলাম।

অথচ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে ঘটনা কেন্দ্রীক আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পৌরসভার সামনে তারা আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এবং একটি মিথ্যে মামলা ১১জনের উপর দায়ের করে থানায়। যা মামলার বাদি নিজেও শিকার করে সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে যা অডিও রেকর্ড ধারন করা হয়।

পৌরসভায় হামলার শিকার হন মামুন নামে কয়েকজন তারা বলেন হামলাকারিদের মধ্যে ছিলেন ওভি,ইব্রাহিম সেরাজুল সফিকুলসহ ২০ থেকে ২৫ জন এ হামলার সাথে জড়িত। তাদের দলবলের হাতে ছিলো দা, কাতা হাঁসুয়া কান্তা রড,এসব দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সেসময়।

গত ২৪ নভেম্বর সদর মডেল থানায় সফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ১১জনকে এজাহার ভুক্ত ও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ১নং আসামি সহিদ ও ২ নং আসামি কাউন্সিলর ইফতিখার আহমেদ রঞ্জুকেও মামলার আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসিদুল হক নিখিল বলেন মিমাংসা করে দিতে আমিও একমত ছিলাম ১ং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রঞ্জুর সাথে একমত পোষণ করেছি কিন্তু তারা আমার কথা শুনেনি এছাড়া পৌরসভার সামনে রঞ্জু ও তার লোকজনকে হামলা করার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। মুঠোফোনে কাউন্সিল নিখিল জানান তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না অথচ এজাহারে দেখা যায় তিনি সাক্ষী।

এদিকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সদর মডেল থানা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অফিসার ইনচার্জ একেএম আলমগীর জাহান মুঠোফোনে বলেন ঘটনার বিষয়ে দু’পক্ষের অভিযোগ গ্রহন করেছি,এক পক্ষের মামলা রুজু হয়েছে, অপর পক্ষও অভিযোগ পাওয়া গেছে চাইলে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অপর দিকে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রঞ্জু ও তার এলাকাবাসি বলছেন কোনও তদন্ত না করেই তাদের বিরুদ্ধে ছোটদের ঝামেলা স্থানীয় মিমাংশ করতে গীয়ে, একটি অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে যা অপ্রত্যাশিত। পুলিশ তদন্ত না করে মিথ্যে মামলা গ্রহন কিভাবে করলেন তাও তাদের বোধগম্য নয়। ঘটনার সুস্থ তদন্তপূর্বক ভুক্তভোগীদের বিচারের দাবী করেছেন ১নং ওয়ার্ড কল্যাণপুর বাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top