মিরসরাই, (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::: মিরসরাই ইকোনোমিক জোনের জন্য সিলেট থেকে বালি এনে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে মিরসরাইয়ের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ওই প্রতারকের নাম মনিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মঘাদিয়া গ্রামের ছলিম উল্লাহর ছেলে। চুক্তি মোতাবেক সিলেট থেকে বালি এনে মূল্য পরিশোধ না করায় প্রতারক মনিরুলের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাতক সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা
যায়, সুনামগঞ্জের বালি পাথর সাপ্লাইকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স এর অংশিদার শাহজাহান ও গিয়াস উদ্দিনের সাথে চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ের মেসার্স শাহ ট্রের্ডাস এর স্বত্ত্বাধিকারী মনিরুল ইসলামের একটি ব্যাবসায়িক চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক সিলেট থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোন ২.৫ রিসিব যুক্ত বলি আনলোড পয়েন্টে পৌছাবে। যার প্রতি সিএফটি বালুর মুল্য ৫১.৫০ টাকা নিধারণ করা হয়। চুক্তি মোতাবেক প্রথম পক্ষ মনিরুল ইসলাম ২য় পক্ষ গিয়াস উদ্দিন ও শাহজাহানকে অগ্রিম ৪০
হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন এছাড়া ৫লক্ষ টাকা ও ৫লক্ষ ৬০হাজার টাকা মুল্যের শাহ ট্রেডার্সে একাউন্ট নং-২১০৪১১১০০০০০৩০৯ মেঘনা ব্যাংক লি: এর দুটি আলাদা চেক প্রদান করেন। বালি বুঝে পাওয়ার পর অগ্রিম প্রদত্ত দুটি চেকে ১১লক্ষ ৬০হাজার টাকা প্রদান করার কথা থাকলেও মনিরুল বিভিন্ন তালবাহানায় চেক নগদায়ন করনেনি। পরবর্তীতে সিলেটের ব্যবসায়িরা চলতি বছরের ১০ই মার্চ ৫লক্ষ ৬০হাজার টাকা ও ১২ই মার্চ ৫লক্ষ টাকার দুটি চেক মেঘনা ব্যাংকে প্রদানের
জন্য জমা করেন। কিন্তু শাহ ট্রেডার্সের একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক দুটি ডিজঅনার হয়। অপরদিকে প্রতারক মনিরুল অফিসের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেন। ভুক্তভোগি সিলেটের বালি ব্যবসায়িরা জানান, মিরসরাইয়ে অন্যান্য বালি ব্যবসায়িদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তায় কক্সবাজারের একটি হোটেলে তার খোজ পাই। এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনে মনিরুল ১০হাজার টাকা পরিশোধ করেন ও বাকি টাকা পরিশোধে ৩মাস সময় নেন।
কিন্তু সময় নিয়ে আবারও লাপাত্তা হয়ে যান। উপায় না পেয়ে মনিরুলের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক সুনামগঞ্জ বরাবরে একটি মামলা করে । আদালত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেসন করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৩৮ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে সমন জারি করার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের ঠিকানা মোতাবেক তার বাড়িতে গিয়ে তার কোন খোজ পাওয়া যায়নি। তবে স্থানিয়রা বলেন তিনি ব্যাবসার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লক্ষ
লক্ষ টাকা হাতিয়ে পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে মনিরুলের আত্মীয় মিরসরাই নয়টিলা মাজারের আশরাফ খাদেম জানান, মরিরুল আমার বোন জামাই হলেও তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। তার এসব কর্মের ব্যাপারে এর আগেও ফোন পেয়েছি। এ সব ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।