এ. আর. খানঃ ‘রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশরোধে স্টেকহোল্ডারদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার গতকাল দুপুরে খুলনার গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে। কিছু দুষ্ট লোকের জন্য সম্ভাবনাময় এ সেক্টরকে ধ্বংস হতে দেয়া যায় না। মৎস্যখাতকে রক্ষা করতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করতে হবে তেমনি উৎপাদিত মাছের মান বজায় রাখতে হবে। দেশের মৎস্য সেক্টরে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পণ্য। সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রতি বছর বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। অপদ্রব্য মেশানো চিংড়ি মাছ বাংলাদেশ থেকে যাতে বিদেশে রপ্তানি না হয় সেদিকে মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িতদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এর সাথে দেশের স্বার্থ জড়িত।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ আলমগীর, খুলনা মৎস্য দপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ তোফাজউদ্দিন আহমেদ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার ড. এস. এম. রেজাউল করিম, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড.খন্দকার আনিসুলহক এবং বিএফএফইএ’র সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মুনিম লিংকন। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল।
সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, খুলনার নয়টি উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য চাষি, মৎস্য ব্যবসায়ী ও স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।