বাংলাদেশের সর্বপ্রথম আফ্রি আগরউড এলএলপি ইনোকুলেশন কোম্পানি

জাকির হোসেন মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় এই প্রথম আফ্রি আগরউড এলএলপি সাথে জড়িতে আছেন আলিফ আগর আতর ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনায় মোঃ সোহাগ মিয়া (যোগাযোগ ঠিকানা জুড়ী, মৌলভীবাজার মোবাইল ০১৭১১১৬৬০৫৭)
সাধারণত আগর গাছে আর্টিফিশিয়াল করা হয়৷ ইনজেকশন এবং স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক মাধ্যমে আগর গাছ থেকে মাত্র ১০% আগর পাওয়া যায়। এবং আর্টিফিশিয়াল ইনজেকশন এবং স্যালাইন ব্যবহারের পরে ১০০% আগর পাওয়া যায়। আগর একটি সুগন্ধি জাতীয় তরল পদার্থ কিন্তু এর চেয়েও মূল্যবান আগর বা আগর কাঠ। স্থায়ী ভাষায় এটাকে মাল বলা হয়। এই আগর কাঠ বা মাল প্রতি বছর এই কাঠ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন এই আগর প্রাকৃতিক ভাবে সাধারণত গাছে আগর

মাল ১০০% হয় না। ইনজেকশন এবং সেলাইন ব্যবহার করা হয়। স্যালাইন ব্যবহার করার পর আগর কাঠ ১০০% পাওয়া যায়। ইনজেকশন ব্যবহার করার পর আগর পাওয়া যায়, ইনজেকশন এবং স্যালাইন ব্যবহার করা আগর পোড়ালে সুগন্ধ ছড়ায় । আগরউড সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন আগর গাছের উপরের সাদা আবরণ সরিয়ে ভিতরের কলো কাঠ সংগ্রহ করা হয়। গাছ কাটার পর সাদা ও কালো কাঠ প্রাথমিক ভাবে আলাদা করা হয়। পরে কালো কাঠে লেগে থাকা সাদা কাঠ ফেলে দেওয়া হয়। বাটালি দিয়ে ধীরে ধীরে কাজটি করতে হয়। এরপর আর কোন কাজ নেই । এটি আসলে আগর উড নামে পরিচিত। মধ্যেপ্রাচ্যে এই কাঠই সরাসরি বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক ভাবেই হোক আর গাছে মেডিসিনে ব্যবহার করে হোক, আগর গাছের কালো হয়ে যাওয়া অংশ থেকেই কেবল সুগন্ধি পাওয়া যায়। এই কালো অংশ থেকেই তৈরি হয় দামি আতর। আর্টিফিশিয়াল আগর ১kg বাজার মূল্য ৩০/৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ইনোকুলেশন এর বয়স ১৪ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত। ২৪থেকে ৩০ মাস হলে আরেকটু রেইট বেশি পাওয়া যায়। ইনোকুলেশন করার পর গাছটি যত দীর্ঘায়ু হবে তথ্য মাল ঘন এবং কালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top