নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত ভাবে অনাস্থা প্রদান করেছেন। এ ঘটনা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত অভিযোগে শেখহটি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর আনোয়ার হোসেন,২ নং ওয়ার্ড মেম্বর বাহারুল,৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর নাসির উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম,৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর এরশাদ আলী, ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর শ্যামল কুমার সিকদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি মেম্বর নুর নাহার,অনীতা রানী, দিপালী কর এই ৯ জন জন নির্বাচিত ইউপি সদস্য সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করেছেন । লিখিত অভিযোগের নধিসূত্রে জানা গেছে, ৭ নং শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজের খামখেয়ালি ভাবে পরিষদ পরিচালনা করেন। ওয়ার্ডের অন্য কোন মেম্বরদের কোন রকম মতামত গ্রহণ করে না। বরাদ্দ কৃত সমুদয় টি, আর, কাবিকা, চালের কার্ড , টিসিবি কার্ড প্রদান কালীন সময়ে নিজের ইচ্ছে মত বন্টন করেন ইউপি সদস্যরা তার কাছে গেলে রুক্ষ মেজাজে কথা বলেন। মেম্বরদের পরিষদের কোন কাজে ব্যাবহার করা হয় না। পরিষদে বিএনপির কতিপয় কিছু অসাধু লোক এজেন্ট হিসাবে রেখেছে। তারা সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে । নিরুপায় হয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নুর নাহার বলেন, চেয়ারম্যান গোলক বিশ্বাস আমাদের সাথে রুক্ষ মেজাজে কথা বলেন। পরিষদের কোন কাজ আমাদের সাথে সম্বনয় করে না। পরিষদে বরাদ্দ কৃত মালামাল নিজের মত বন্টন করেন। আমরা এই কারনে ৯ জন ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছি।৭ নং ইউপি সদস্য আনোয়ার বলেন, কতিপয়
চেয়ারম্যানের আচার আচারনে এতটাই অতিষ্ঠ যে আমরা এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। জনগনের কোন সেবা মূলোক কাজে আমরা অংশ গ্রহন করতে পারছি না।
২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাহারুল বলেন, আজ আামদের মেম্বরি করার বয়স ১০ মাস। এই ১০ মাসে আমাদের কোন কাজ দেয়নি চেয়ারম্যান । কারন জানতে চাইলে তিনি আমাদের মূল্যায়ন করে না।